১৭ মে, ২০২৪

Fraud: 'নিজের কান নিজেই মুলছি,' ডিজিটাল জালিয়াতির শিকার হয়ে আর কি জানালেন ভাটপাড়ার জয়ন্ত
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-08-31 16:04:39   Share:   

কখনও ভয়ে বাড়ি ছেড়েছেন কিংবা কখনও নিজের কান নিজেই ধরে বলেছেন আর কখনও কাউকে দেবেন না নিজের পরিচয় পত্র। এ অবস্থায় শঙ্কায় দিন কাটছিল তথ্য জালিয়াতির শিকার হওয়া যুবক জয়ন্তর। শেষমেশ আদালতের রায়ে ফিরেছে স্বস্তি, ফিরেছে রাতের ঘুমও। সূত্রের খবর, দু'বছর আগে হওয়া জালিয়াতির ঘটনায় ব্যারাকপুর মহকুমা আদালত জালিয়াতদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এছাড়া সূত্রের খবর, ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতের বিচারক এ ঘটনা শুনে বলেন, 'এ জালিয়াতি এক জনের কাজ নয়, এখানে অনেকে জড়িত আছে, এ ঘটনার পুরো তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বার করতে হবে।' 

অভিযোগ, দু'বছর আগে ভাটপাড়া থানার মাদরালের বাসিন্দা জয়ন্ত ভট্টাচার্য বাইক কিনতে গিয়ে জানতে পারেন, তিনি নাকি আগেই মোটা অংকের টাকা লোন করেছেন। যা শুনে রীতিমত চক্ষু চড়ক গাছ জয়ন্তর। এরপর তিনি ওই ব্যাঙ্ক ও অর্থঋণকারী সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাঁর নামে ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে। এ ঘটনায় ২০২১ সালে ব্যারাকপুর সাইবার ক্রাইম দফতরেও অভিযোগ দায়ের করেন জয়ন্ত। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর। 

এ বিষয়ে জালিয়াতির শিকার জয়ন্ত ভট্টাচার্য বলেন, 'মাথার উপর চল্লিশ লক্ষ টাকার ঋণ, সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১৪ টি ব্যাংক থেকে লোন হয়েছে জয়ন্ত ভট্টাচার্যের নামে।' তিনি আরও বলেন, '২০২১ সালে একটি মোটর সাইকেল কিনতে গিয়ে দেখা যায়, আমার নামে এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষ টাকা লোন রয়েছে।' তিনি জানান, প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও রকম সুরাহা হয়নি, তাই তিনি আতঙ্কে ছিলেন, যে কোনও সময় তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। এর জেরে বাড়িও ছেড়েছিলেন বলে জানান তিনি।' 

এ ঘটনার তদন্তের রায় পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি তিনি। বৃহস্পতিবার তিনি সিএন ডিজিটালকে জানান, 'আমার নামেই কোনও এক ব্যক্তি আসাম থেকে এই লোন গুলো তুলেছে। শুধু লোন তুলে ক্ষান্ত হননি ওই নামে পাসপোর্টও করেছেন। এমনকি একটি গাড়িও কেনা হয়েছে যেটি লাক্সারি বাস।' অবশেষে তিনি ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হলে, বিচারক এ ঘটনার তদন্তের রায় দেন।


Follow us on :