Share this link via
Or copy link
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত জ্যোতিপ্রিয়র আবদার ছিল তিনি মন্ত্রী, ফলত তিনি জেলে নয় এসএসকেএমে থাকবেন। যদিও সে প্রচেষ্টা বৃথা গেছে। এবার মন্ত্রী মশাইয়ের নতুন আবদার, 'আমার মোবাইল চাই।' বুধবার প্রেসিডেন্সি জেল কতৃপক্ষের কাছে এমন আবদার করেনা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মঙ্গলবারের মত বুধবারও তাঁর আবেদন কার্যত জেল কতৃপক্ষের কাছে গুরুত্ব পায়নি বলেই খবর। জানা গিয়েছে, জেল হেফাজতে এসেও তিনি বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীদের নাম করে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। যদিও তাতে কোনও সুবিধা করে উঠতে পারেন নি তিনি। জেল হেফাজতে আসার পর থেকে মন্ত্রী মশাইয়ের আবদারে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন জেল কতৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মন্ত্রী মশাই স্পষ্ট বলেন, 'আমি মন্ত্রী, আমি জেলে থাকব কেন, আমি অসুস্থ, তাই এসএসকেএমে থাকবো।' এই আবদারে পরেই মন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর মন্ত্রীকে সুস্থ বলেই জানানো হয়, ফলে তাঁর এসএসকেএম যাওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যায়। এরপর আজ অর্থাৎ বুধবার ফের জ্যোতিপ্রিয় জেল কতৃপক্ষের কাছে আবদার করেন, তাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দিতে হবে, তাঁকে বাড়িতে কথা বলতে হবে, এমনকি তিনি জানান, তাঁকে তাঁর দফতরের লোকের সাথেও কথা বলতে হবে। যদিও তাঁর দাবিকে গ্রাহ্য দেওয়া হয়নি বলেই দাবি জেল কতৃপক্ষের।
ওদিকে, প্রেসিডেন্সি জেলের একই ওয়ার্ডে থাকা সত্ত্বেও জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের সঙ্গে দেখা করতে নারাজ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেল সূত্রে খবর, পয়লা বাইশ ওয়ার্ডে ঢোকার সময় আপত্তি জানান প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। মন্ত্রীকে বোঝানোর জন্য তাঁকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার প্রস্তাব দেওয়া হয় জেলের তরফে। তাতে অনীহা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। পহেলা বাইশে দু'নম্বর সিলেট রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই পয়লা বাইশেই সাত নম্বর সেলে রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সূত্রের খবর, পহেলা বাইসের আরও দুটি ছেলে রয়েছে জীবনকৃষ্ণ ও মানিক।