Share this link via
Or copy link
হাওড়ার (Howrah) উত্তপ্ত শিবপুরে (Shibpur) শুক্রবার থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে ছিলেন হাওড়ার পুলিস কমিশনার (CP) প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি। দুপুরের পর ফের দুষ্কৃতীদের তান্ডবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিসকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি, তাতে আহত হয় বেশ কিছু পুলিসকর্মী ও সাংবাদিকরা। তারপরেই লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস। বিকেলে ১৪৪ ধারা জারি হলে, মাইকিং শুরু করে পুলিস। এরপরেই গোটা ঘটনা জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করেন। এরপরেই রাজ্যপালের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, 'বাংলায় দুষ্কৃতীদের জোট মেনে নেওয়া হবে না, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।' এভাবেই কড়া ভাষায় সতর্কবার্তা দিয়েছে রাজভবন।
বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ শুরু করে রাজনৈতিক মহল। প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন থেকে দেড় কিমি দূরে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটছে? কতটা সর্তক ছিল প্রশাসন, কেনই বা এমন ঘটনা শক্ত হাতে দমন করছে না রাজ্য? প্রশ্ন গুলো থাকছেই, এরই মধ্যে শুক্রবার বিকেলের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী জানিয়ে দেন, 'শনিবার মোট ৬৮টি পিনকোডে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। যার মধ্যে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট ছাড়াও রয়েছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট ও আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেট।'
সূত্রের খবর, দুষ্কৃতী তান্ডবের ঘটনায় আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। যদিও এই ঘটনার তদন্তের ভার পড়েছে সিআইডির উপরে। সূত্রের খবর, ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুস্কৃতীদের গ্রেফতারি চালানো হবে বলে খবর। এই ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পূর্বেই মেনে নিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেইমতো গোটা ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে দোষারোপ করেছেন তিনি, যদিও পাল্টা তৃণমূলের আর পুলিসের চক্রান্তে এই হামলা হয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যর।