২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Smuggling: কীভাবে চলত গরু ও কয়লা পাচার? সিবিআইয়ের হাতে সেই ব্লু-প্রিন্ট
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-08-13 15:49:00   Share:   

অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআই-এর হাতে। পাচার হওয়া গরু পিছু আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা কমিশন (Commission) ধার্য করে দিয়েছিলেন কেষ্ট। পাশাপাশি তা বেড়ে দাঁড়াত পাঁচ থেকে ছ’হাজারে। আবার কয়লার ক্ষেত্রে গাড়ি পিছু ১০ হাজার টাকাই ছিল ফিক্সড রেট। অর্থাৎ শুধু গরুই নয়, পাশাপাশি কয়লাতেও অনুব্রত মণ্ডলের যে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল, সেটাও সিবিআই-এর (CBI) তদন্তে উঠে এসেছে। ২০১৫ থেকে শুরু গরু পাচারের ডিল। তিন মাসে ৬ কোটির ডিল হয়েছিল। এনামুল টাকা দিত সায়গলকে, সায়গলের কাছ থেকে অনুব্রতর কাছে টাকা আসত। সূত্রের খবর, এমনই প্রমাণ এসেছে সিবিআই-এর কাছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে অনুব্রত বাহিনীকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে সিবিআই।

গরু পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বাহুবলী হিসাবে পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু কীভাবে পরিচালিত হত এই চক্র?

২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মালদহ, মুর্শিদাবাদ সীমান্তে ২০ হাজার গরু ধরা পড়ে। কিন্তু পাচারের অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বরং  খাতায় গরুগুলিকে বাছুর দেখানো হয়। সিবিআই তদন্ত করে আরও জেনেছে, 

সেই গরুগুলিকে বাছুর দেখিয়ে কম দামে নিলামে বিক্রি করা হত। এরপর সেই গরুগুলিকে এনামুলের সিন্ডিকেটের হাতে বিক্রি করা হত। নিলামে কেনার পর সেই সব গরুর বেশিরভাগ চলে যেত ইলামবাজারের হাটে। অভিযোগ, এখান থেকে দুভাবে লাভবান হতেন অনুব্রতর মতো প্রভাবশালীরা। গরুর লরি জেলাতে প্রবেশ করতে দেওয়া বাবদ টাকা। তারপর ইলামবাজার হাট থেকে সীমান্ত পার করতে সেফ প্যাসেজ করে দেওয়া বাবদ টাকা। 

অভিযোগ, হাট থেকে শুরু করে বাংলাদেশে গরু পাচারের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই কাজ দেখভাল করত সায়গল।



Follow us on :