Share this link via
Or copy link
পড়া না পারায় শিশুকে (child) বেধড়ক মারের অভিযোগ গৃহশিক্ষিকার (home teacher) বিরুদ্ধে। মারের চোটে শিশুর ডান পা গুরুতরভাবে জখম হয়েছে বলেও অভিযোগ শিশুর পরিবারের। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায়। নির্মম এই ঘটনা জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ভগৎ সিং কলোনীর।
ভগৎ সিং কলোনীর এক দম্পতির চার বছরের ছেলে, এলাকারই এক গৃ্হশিক্ষিকা পম্পা দাসের কাছে টিউশন পড়ে। অভিযোগ, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই শিশু গৃহশিক্ষিকার কাছে পড়তে যায়। পড়া না পারায় ওই গৃ্হশিক্ষিকা বেত এবং লাঠি দিয়ে শিশুর ডান পায়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন। শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে এবং মাকে সমস্ত বিষয় জানায়। শনিবার শিশুটির পা অস্বাভাবিক রকম ফুলে যায়। সেদিনই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন।
এক্স-রে প্লেট দেখার পর শিশুর ডান পায়ে প্লাস্টার করে দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। আপাতত প্লাস্টার পায়ে ঘরবন্দি একরত্তি শিশুটি। চোখে মুখে তার আতঙ্কের ছাপ। শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, ডান পা ভেঙে গিয়েছে শিশুর।
আরও জানা গিয়েছে, এর আগেও ওই গৃহশিক্ষিকা একবার মেরে কান ফাটিয়ে দিয়েছিলেন শিশুটির। এবারের ঘটনার পরদিন শিশুর মা এবং প্রতিবেশিরা অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ অস্বীকার করেন গৃহশিক্ষিকা। পাল্টা তিনি রুদ্রমূর্তি ধারণ করে তেড়ে আসেন বলে অভিযোগ। তবে শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে বেপাত্তা ওই গৃহশিক্ষিকা।
রবিবার রাতে তাঁর বাড়ি গেলে গৃহশিক্ষিকার দিদি জানান, তিনি বাড়িতে নেই। এর থেকে বেশি কিছু বলতে অস্বীকার করেন তিনি। কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।