০৯ মে, ২০২৪

Durgapur: অসহায়! মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে হারানোর ভয়ে পায়ে শিকল বেঁধেছে বাবা-মা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2024-02-23 17:11:15   Share:   

ছেলে মানসিক ভারসাম্য়হীন। আর্থিক অভাবে হয়নি চিকিৎসা। তাই নিরুপায় হয়ে ছেলের পায়ে শিকল বেঁধে রেখে দিয়েছে মা বাবা। দুর্গাপুরের কাঁকসার বিদবিহারের দন্ডেশ্বর গ্রামে দেখা মিলেছে এক হত দরিদ্র পরিবারের ছবি। সেই গ্রামের দয়াময় বাউরি ও তাঁর স্ত্রী সহ তিন ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে বাস করেন। 

এরপর বড়ছেলে অভিজিৎ বাউরি ১৫ বছর বয়স থেকে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। একাধিকবার চিকিৎসার পর সাময়িক সুস্থও হলেও আর্থিক সমস্যার জেরে যথাযথ চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে বর্তমানে মানসিক ভারসাম্যহীন অভিজিৎ একটু সুযোগ পেলেই চলে যায় এদিক-ওদিক। ছেলেকে খুঁজতে ঘুম উড়ে যায় দিনমজুর বাবা-মায়ের। 

অভিজিৎ-এর বাবার দাবি, ছোটো থেকে ভালো ছিল আমার ছেলে। স্থানীয় স্কুলেও পড়াশোনা করত। রোজগারও করা শুরু করেছিল। কিন্তু ১৫ বছর বয়স থেকে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। চিকিৎসা করানো হয়েছে তখন সুস্থ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন আর চিকিৎসার খরচ যোগানো সম্ভব হচ্ছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় প্রচারে এসে ছেলের চিকিৎসার খরচ দেওয়া হবে, আশ্বাস দিয়েছিলেন অনেকে। আর তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায় না। 

দুই বছর আগে ঝাড়গ্রামে চলে গিয়েছিল অভিজিৎ। কোনওক্রমে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছিল তাঁকে। আর ছেলেকে হারাতে চান না। তাই ছেলের পায়ে শিকল বেঁধে রেখেছেন।" যদিও বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল সরকার বলেন, "বিষয়টি তার অজানা ছিল। তিনি বিষয়টি জানার পর পাশে থাকা হবে বলেও আশ্বাস দেন।"


Follow us on :