মেয়ের শ্লীলতাহানি (Sexual Harrasment) আটকাতে এসে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন (Murder) বাবা। উলুবেড়িয়ার শ্যামপুর (Howrah Incident) গোবিন্দপুরের এই ঘটনায় দু'দিন পরেও চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, শ্যামপুর নস্করপুরের এক দশম শ্রেণির ছাত্রী রবিবার গৃহশিক্ষকের থেকে পড়ে রাত ন'টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় বাড়ির কাছাকাছি তিন মদ্যপ যুবক ছাত্রীর সাইকেল আটকায়। তাঁকে শ্লীলতাহানির উদ্দেশে টানা-হ্যাঁচড়া শুরু করে। সেই ছাত্রী 'বাবা-বাবা' বলে চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়লে বাবা গণেশ মণ্ডল ছুটে যান। সেই সুযোগে বাড়ি পালিয়ে এসে মাকে সব জানায় ছাত্রী।
এদিকে বাবা গণেশ মণ্ডল মেয়ের শ্লীলতাহানি আটকাতে এলে তাঁকে বেদম প্রহার করে দুষ্কৃতীরা। মাঠে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় গণেশবাবুকে। পেটে-বুকে আঘাত দিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় তাঁকে মাঠে ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে পরিবারের লোকজন গণেশবাবুকে উদ্ধার করে স্থানীয় ঝুমঝুমি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এরপর সোমবার বিকেলে মৃত্যু হয় গণেশ মণ্ডলের।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এলাকায় মদ বিক্রি প্রচণ্ড বেড়েছে। পুলিসকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। যারা মদের কারবার করে, তাঁরা এলাকায় বেশ প্রভাবশালী। এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব শ্যামপুর। পরিবারের অভিযোগ, তিন দুষ্কৃতী স্থানীয় যুবক।