Share this link via
Or copy link
ঝালদা বিতর্কের ঝাঁঝ কমছে না কিছুতেই, বরং বাড়ছে উত্তরোত্তর। বিস্তর স্ট্র্যাটেজির পর ঝালদার কুর্সিতে এখন তৃণমূল। আর তৃণমূলের ছোঁয়া লাগতেই ঝালদা পুরসভায় গেল ইডির নোটিস! এবার নিয়োগ দুর্নীতির গ্যাঁড়াকলে ঝালদা পুরসভা? ২০১৪ থেকে এখনও পর্যন্ত স্থায়ী, অস্থায়ী যাবতীয় নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
একটি মৃত্যু থেকে ঝালদার অস্থিরতার শুরুয়াত। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুন ঘুরিয়ে দেয় ঝালদার রাজনীতি। কখনও কংগ্রেসের পাল্লা ভারী, কখনও তৃণমূলের। এরপর হাইকোর্টের অর্ডারে ঝালদার কুর্সি পেয়েও ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। তৃণমূলে যোগদানকারী দলবদলু ৪ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং পুর প্রধানের দৌলতে ঝালদা পুরসভা এখন ঘাসফুল শিবিরের। কিন্তু সেই জয়ের সপ্তাহ খানেকের মাথাতেই ঝালদার শিয়রে ইডির শমন। আগেও একবার ইডির নোটিস পেয়েছে ঝালদা পুরসভা। কিন্তু এবারের নোটিসের ১ সপ্তাহের মধ্যে ২০১৪ থেকে দায়িত্বে থাকা পুরপ্রধান, নির্বাহী আধিকারিক সহ পুরকর্মীদের নাম, ফোন নম্বর, নিয়োগকারীদের বায়োডেটা সহ সমস্ত নথি ইডির কাছে পাঠানোর নির্দেশ।
নিয়োগে গ্যাঁড়াকল হলে তৃণমূলের আমলেই হয়েছে, অভিযোগ জেলা কংগ্রেস সভাপতির। পাশাপাশি প্রত্যেকটি সরকারি ক্ষেত্র যেন দুর্নীতির আখড়া! ঝালদা পুরসভাই বা বাদ যাবে কেন? এখানেও কেন্দ্রের প্রকল্পগুলিতে দুর্নীতির অভিযোগ আনছে বিজেপি। নিয়োগকাণ্ডের ডেভেলপার অয়ন শীলের হাত ধরে পুর দুর্নীতির নতুন চ্যাপ্টার দেখেছে বাংলা। হিমশৈলের বাকি অংশের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তবে যে ঝালদা নিয়ে এত লড়াই, এত দরাদরি, সেই পুরসভাও এবার তদন্তের স্ক্যানারে! এখনও কি ঝালদা নিয়ে রাজনীতির টানাপোড়েন চলবে? নাকি এবার দায় ঝাড়ার পালা?