Share this link via
Or copy link
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলি অযথা অতিরঞ্জিত খবর করছে। আর তার জেরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানহানি হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বন্দ্যোপাধ্যায় তার পরিবারের সদস্যদের। এরকম অভিযোগ এনেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইকোর্ট গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করতে পারে না, তা আগের দিনই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। এবার রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডি এবং সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকাকে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ বা গাইডলাইনের মাধ্যমে বেঁধে দিলেন তিনি।
হাইকোর্টের নির্দেশ, সার্চ অ্যান্ড সিজারের সময় কোনও লাইভ স্ট্রিমিং করা যাবে না। তল্লাশি চলার সময় ইডি আগে থেকে সার্চ অ্যান্ড সিজারের বিষয়ে জানাতে পারবে না মিডিয়াকে। মিডিয়াকে নিয়ে গিয়েও কোনওরকম তল্লাশি চালাতে পারবে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সার্চ অ্যান্ড সিজারের বিষয়ে আগে থেকে কোনও রকম প্রকাশ্যে খবর আনা যাবে না এবং প্রেস রিলিজও করা যাবে না। সংবাদমাধ্যম কোনও খবর করলে সেখানে সন্দেহভাজন অভিযুক্তের ছবি ব্যবহার করা যাবে না। চার্জশিটের আগে কোনওরকম ছবি ছাপা যাবে না। এই নির্দেশের কোনওরকম অবমাননা হলে মিডিয়ার আধিকারিকদের দায়ী থাকতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে।
এই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি ভট্টাচার্য রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন নিয়ে মন্তব্য করেন, তথ্য জানার অধিকার থেকে মানুষকে কী করে দূরে রাখবে আদালত? সংবিধানে বর্ণিত চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদমাধ্যমের কথা উল্লেখিত রয়েছে। আদালত কখনই সংবিধান পরিবর্তন করে না। একটা সাংবিধানিক আদালত যদি সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করতে থাকে সেটা গণতন্ত্রের জন্য ভাল ব্যবস্থা নয়। তবে আবেদনকারী আইনজীবী কিশোর দত্ত দাবি করেন, সংবাদ মাধ্যমের একটা সীমা থাকা প্রয়োজন।ইডি সিবিআই নিয়ে তারা যা যা খবর করছে তাতে কার্যত মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে। প্রত্যেকের সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার রয়েছে।
গত সপ্তাহে ইডির তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা, বাবা এবং স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হলে একমাত্র হাজিরা দেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশে তথ্য জমা দেওয়ার পর সোমবার ১০ ঘন্টা ইডি জেরার মুখোমুখি হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়ক সুমিত রায়। এর মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই হাইকোর্টের এই অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনামা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।