Share this link via
Or copy link
উত্তপ্ত দুর্গাপুরের পান্ডবেশ্বর। বোমায় হাত উড়ল তরুণের। শুরু রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের অন্দরের যুদ্ধে এখন অশান্ত এলাকা। রয়েছে পুলিস মোতায়ন।
এবার প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (inner clash)। পাণ্ডবেশ্বরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে(health centre) তৃণমূলের পার্টি অফিস(party office) করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। গত পরশু থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র দখল করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পার্টি অফিস করছিল বলে অভিযোগ। পার্টি অফিস করাকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাঁধে। চলে ব্যাপক বোমাবাজি। মূলত, জামুরিয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং ও পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অনুগামীদের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে মাঠে গরু চড়াতে গিয়ে খড়ের গাদার মধ্যে কাগজে মোড়ানো অবস্থায় কিছু পড়ে থাকতে দেখে তা কুড়িয়ে দেখছিল একজন। সঙ্গে সঙ্গে সেটি ফেটে যায়। ঝন্টু মণ্ডল নামে ওক তরুণের বাম হাতের কব্জি উড়ে গিয়ে রাস্তার ধারে থাকা একটি মাঠে গিয়ে পড়ে। জখম হন আরও একজন। ঝন্টুকে সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে জামুরিয়ার বাহাদুরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরে রানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আঘাত গুরুতর থাকায় তাকে দুর্গাপুরের রাজবাধের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝন্টু মণ্ডলের ডান হাতের আঙুলও কম বেশি জখম । বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পুলিস রিবন দিয়ে ঘিরে রেখেছে। গোটা ঘটনায় থমথমে গোটা এলাকা।
একাধিকবার বিভিন্ন বৈঠকে শাসক দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল না করার বার্তা দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও সেই বার্তাকে উপেক্ষা করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর আসে প্রকাশ্যে। যা নিয়ে বিরোধীরাও কটাক্ষ করতে ছাড়েন না।
তবে গ্রামের মানুষ রাজনীতির ঊর্ধ্বে। কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থক হলেও গ্রামে কোনও অশান্তি চান না তারা। সকলেই চাইছেন গ্রামে শান্তি ফিরে আসুক। বোমাবাজির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত তারা।