Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্তঃ সোমবার কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জন্মদিনে ধূপগুড়ি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন যে, সামনেই ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে ওই অঞ্চলে বিজেপি সমস্ত হোটেল বুক করে রেখেছে। যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার সমস্তই তাদের হাতে, যাতে অন্য কোনও দলের কেউ সুবিধা না পায়। তিনি বলেন যে, টাকা পয়সা ছড়ানো হচ্ছে। একই সাথে তিনি অবশ্য বাংলার নাগরিক হিসাবে রাজবংশীদের নামে জয়ধ্বনি দেন।
একটি বিষয় আগেও আমরা জানিয়েছি যে, ধূপগুড়ি নির্বাচনে প্রতিটি দলের কাছে প্রেস্টিজ লড়াই। যদিও ধূপগুড়ি চিরকালই বামেদের ভূমি। এখানকার ভোটাররা ২০১১ অবধি বামেদের ভোট দিয়ে এসেছে এবং বামশক্তি দুর্বল হলে তারা বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য তৃণমূলকে পরাস্থ করা। যদিও বাস্তব ঘটনা এই যে, তৃণমূল এই ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে পরাস্থ হলে তাদের কোনও লোকসান নেই। কারণ এই জমি তো তাদের ছিলই না। কিন্তু জিততে পারলে মস্ত লাভ।
তৃণমূল জিতলে এটা প্রমাণিত হবে যে, বিজেপির হওয়া আর উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে ডুয়ার্স/তরাইতে নেই, যা কিনা ১৯ এবং ২১-এ প্রবল ভাবে ছিল। একই সাথে আগামী লোকসভায় উত্তরবঙ্গে জমি খুঁজে পাবে মমতার দল। অন্যদিকে, বিজেপি জিততে না পারলে তাদের মস্ত ভাবনা। এই কারণে যে তাদের শক্ত ঘাঁটি হাতছাড়া হতে চলেছে। সে ক্ষেত্রে ৩৫ আসন তো দূরস্থান, ৫টি আসন পাবে কিনা চিন্তার। কাজেই ওখানকার মাটি কামড়ে পড়ে থেকে এই উপনির্বাচন জিততে মরিয়া বিজেপি। সেই সঙ্গে তারা অনন্ত মহারাজকে (যিনি এখন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ) প্রচারে নামিয়ে রাজবংশী ভোট দখল করতে চলেছে। এই অনন্ত মহারাজ কিন্তু একসময় বাংলা ভাগের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। বিজেপি অফিসিয়ালরা কিন্তু ওই বিষয়টিকে সামনে আন্তে চাইছে না। তারা চাইছে যেভাবেই হোক এবারেও সিপিএমের সিংহভাগ ভোট যেন তাদের বাক্সে পড়ে, নতুবা জয় পাওয়া কঠিন। দেখার বিষয় ২ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রচারে কি বলেন।