Share this link via
Or copy link
'এ যেন খুল যা সিমসিম,' ইডির কাছে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর এখন কিছুটা সেরকমই। যেন কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণের কণ্ঠস্বর পেলেই সমাধান হয়ে যাবে অনেকটা। যেমনটা হয়েছিল সিনেমায়। 'খুল যা সিমসিম,' যা বলার পরই খুলে গিয়েছিল গুহার দরজা। জানা গিয়েছে, ইডির তরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের স্যাম্পেল নেওয়ার জন্য ফের এসএসকেএমকে চিঠি লিখল ইডি। সূত্রের খবর, ইডির তরফে চিঠি লিখে জানতে চাওয়া হয়েছে, কবে সুজয় কৃষ্ণ ভাদ্রের ভয়েস সাম্পেল নেওয়া সম্ভব হবে? এমনকি কবে সুজয় কৃষ্ণের কণ্ঠস্বর পাওয়া সম্ভব, সেই দিন-ক্ষণ জানানোর জন্য হাসপাতাল কতৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, ইডি হাতে এক অডিও রয়েছে। যেখানে মোবাইলের কিছু তথ্য ডিলিট করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অডিওর সঙ্গে কালীঘাটের কাকুর ভয়েস মেলানোর জন্য, তার ভয়েস স্যাম্পেল নিতে চায় ইডি। রাজ্য–রাজনীতিতে এখন বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বর। সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র নাকি অডিয়ো মুছে ফেলতে বলেছিলেন তদন্তকারী অফিসারকে। তাই আদালতের নির্দেশের পরই সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চেয়ে এসএসকেএম হাসপাতালকে চিঠি দিয়েছে ইডি। যে কোনও জায়গায় গিয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যাবে বলে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। আর তারপর থেকে সক্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় বারবার উঠে এসেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। ইতিমধ্যেই বাইপাস সার্জারি হওয়ার ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও এসএসকেএম হাসপাতালে আছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে কয়েকদিন আগেই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছয় ইডি অফিসাররা। এই কণ্ঠস্বর পেলেই অনেক তদন্ত সহজেই হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অফিসাররা। সূত্রের খবর, এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারছে না ইডি। কেন এতদিন এসএসকেএম হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ? কী চিকিৎসা চলছে? কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে কালীঘাটের কাকুকে? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এই প্রশ্নগুলি হাসপাতাল সুপারের কাছে জানতে চেয়ে বয়ান রেকর্ড করছে ইডি। দরকার পড়লে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণকে চিকিৎসা করানো হতে পারে। এমন ভাবনাও করা হয়েছে।