Share this link via
Or copy link
মর্মান্তিক শিশুমৃত্যুর পর এবার শুরু দায় ঠেলাঠেলি। গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদে সদ্যোজাতের মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০। ‘রেফার’ নিয়ে দায় ঝাড়তে উঠে পড়ে লেগেছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে জঙ্গিপুর হাসপাতালে অকেজো স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটস বা এসএনসিইউ। তার জেরে বেড়েছে রেফার। এবার সেই দাবি ওড়ালেন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার। তাঁর দাবি, তাঁদের হাসপাতাল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও শিশু রেফার করা হয়নি। এসএনসিইউও ঠিকই আছে। তবে কিছু কিছু পরিষেবা দিতে পিছপা হতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এদিকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের অভিযোগ, দীর্ঘ দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে অকেজো এসএনসিইউ। যার জেরে শেষ মুহূর্তে সংকটজনক অবস্থায় সব শিশুদের রেফার করা হচ্ছে মেডিকেল হাসপাতালে। কার্যত মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামোগত অবক্ষয়কেই দায়ী করেছেন তিনি।
কখনও শিশুর ওজন, কখনও অপুষ্টিকেই দায়ী করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানে প্রদীপের নীচে গাঢ় অন্ধকার। পরিকাঠামো না থাকায় শেষমেশ রেফার রোগই কাড়ল এত গুলো নবজাতকের প্রাণ?
পর পর ৯ জন সদ্যোজাতর মৃত্যু নিশ্চয়ই খুব ছোটখাটো বিষয় নয়? এদিকে ক্রমশই চলছে দায় ঠেলাঠেলির পর্ব। শুক্রবার হাসপাতালে সদ্যোজাতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সরকারি গাফিলতির দিকে আঙুল তুলে মৃত ৯ শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তিনি।
রেফার রেফার খেলা এরাজ্যে নতুন কিছু নয়। কিন্তু একই দিনে ১০ জন শিশু মৃত্যুতে, ফের কাঠগড়ায় স্বাস্থ্য দফতর। কখনও গাফিলতি, কখনও পরিকাঠামো। আর স্বজনহারা হচ্ছে এবাংলার জনসাধারণ। এটাই যেন ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এবাংলার।