Share this link via
Or copy link
আগেই পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের একধিক পুরসভার। এবার ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল তারকেশ্বর পুরসভার বিরুদ্ধে। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই রেজিস্ট্রি করানো হয়েছিল ফ্ল্যাট। অভিযোগ,পূর্বনির্ধারিত সুযোগ-সুবিধা না দিয়েই ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় চাবি। যার ফলে সমস্যায় পড়েন ৩০-৪০ জন ক্রেতা। অভিযোগ তাঁদের সঙ্গে যৌথভাবে প্ৰতারণা করেছে তারকেশ্বর পুরসভা এবং সানফ্লাওয়ার গ্রীন প্রজেক্ট লিমিটেড সংস্থা। ওই গ্রাহকদের অভিযোগ, জেলা থেকে রাজ্য স্তরে অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।
জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে পুর বোর্ড দখল করে তৃণমূল। এরপরই তারকেশ্বর পুরসভার অধীনস্থ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল নির্মাণের পরিকল্পনা হয়। পুরসভার আয় বাড়াতে ২০১৩ সালে সানফ্লাওয়ার গ্রীন প্রজেক্ট লিমিটেড নামে ওই বহুতল নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয় তারকেশ্বর পুরসভার। ৭২ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ১০ তলা বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তৎকালীন পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন স্বপন সামন্ত এবং ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন উত্তম কুন্ডু। আরও অভিযোগ, সানফ্লাওয়ার গ্রীন প্রজেক্ট লিমিটেড সংস্থার বোর্ডের ডিরেক্টর ছিলেন তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুন্ডুর স্ত্রী। অভিযোগ, এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত প্রাক্তন ও বর্তমান চেয়ারম্যান। যদিও একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন প্রাক্তন ও বর্তমান চেয়ারম্যান। অভিযোগ অস্বীকার বহুতল নির্মাণকারী সংস্থার মালিক রাজেশ আগারওয়ালের। এ অবস্থায় রীতিমত দিশেহারা ওই ফ্ল্যাট গ্রাহকরা।
এ ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে কেন এই ফ্ল্যাট গুলি সমস্ত সুযোগ সুবিধা না দিয়েই হস্তান্তর করা হয়। ওই গ্রাহকদের তরফ থেকেই অভিযোগ ওই ফ্ল্যাট গুলিতে এখনও বেশ কিছু নির্মাণ কাজ বাকি। বাকি জলের কাজ ও রঙের কাজও। এখন ওই পূর্বনির্ধারিত পরিষেবা পেতে কি করবে গ্রাহকরা! এই প্রশ্নই উঠছে। যদিও এ বিষয়ে প্রাক্তন পুরপ্রধানের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।