Share this link via
Or copy link
সিবিআই হেফাজতে (Custodial Death) লালন শেখের (Lalan Seikh) মৃত্যুর পর থেকে মঙ্গলবার বিক্ষোভ, ধর্না, পথ অবরোধ দেখেছে রামপুরহাটের (Rampurhat) পান্থ শ্রী গেস্ট হাউস। এখানেই অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছিল সিবিআই (CBI)। শোনা গিয়েছে সিবিআই গো ব্যাক স্লোগান। এবার সেই অস্থায়ী ক্যাম্পই সরিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। মঙ্গলবার রাতের দিকে বিক্ষোভ কিছুটা থিতু হলে অন্ধকারে একাধিক তদন্তের যাবতীয় নথি গাড়িতে কলকাতা পাঠায় সিবিআই।
জানা গিয়েছে, মাঝে সাঁইথিয়ার কাছে সিবিআইয়ের গাড়ি খারাপ হয়। অন্য একটা গাড়িতে যাবতীয় নথি, কেস ডায়রি, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, বয়ানের কপি নিয়ে বুধবার সকালে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্রের খবর, বগটুই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু এবং তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন সংক্রান্ত একাধিক নথি রামপুরহাট থেকে সরিয়ে নিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার আশঙ্কা, যেভাবে বিক্ষোভ চলছে, যে কোনও মুহূর্তে ক্যাম্প অফিসের উপর হামলা হতে পারে। তাতে নথি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই আশঙ্কা থেকেই এসব নথি নিয়ে কলকাতায় চলে এসেছে সিবিআইয়ের একটি টিম।
এদিকে, সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ৭ সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের। আইপিসির ৩০২, ৩২৫, ১২০বি-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। লালনের স্ত্রীয়ের এফআইআর-র ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের বলেই সূত্রের খবর। ৭ সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় খুন, তোলাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। লালনের স্ত্রীয়ের দায়ের করা এফআইআর-এ অভিযুক্ত হিসেবে নামা ছে সুশান্ত ভট্টাচার্যর। এই সুশান্ত ভট্টাচার্য গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী অফিসার। তাঁর হাতেই গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল।
যদিও সুশান্ত ভট্টাচার্যের নাম প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের এক সদস্য বলেছেন, পুরো ব্যাপারটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে এই এফআইআর-র বিরোধিতায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় সংস্থা।