১৬ মে, ২০২৪

National Anthem: বিধানসভায় কাঁসর-ঘণ্টা বাজানোয় এফআইআর দায়ের, হাইকোর্টের নির্দেশে ফের স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-12-14 17:45:24   Share:   

বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিস। বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগের বিরোধিতা করে দ্বিতীয় মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। শঙ্কর ঘোষের করা সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনকারী শঙ্কর ঘোষকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিস, নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের।

আবেদনকারী আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ হয়েছে। ওই দিন তিনটি ঘটনা ঘটেছে। এই মামলা দ্বিতীয় অভিযোগ নিয়ে। এই মামলার কারণ বিজেপি বিধায়করা কাঁসর এবং ঘণ্টা বাজাচ্ছিল। ঠিক তখনই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুরু করে শাসক দল। সূর্য ডোবার সময় কাঁসর ঘণ্টা বাজাচ্ছিল তারা। এই নিয়েই FIR দায়ের হয়, সেই FIR খারিজের দাবিতে এই মামলা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলা করা হয়েছে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে।

সরকারি আইনজীবী রুদ্রদীপ্ত সরকার জানান, 'বিধানসভা তো পুজোর স্থান নয়।ওখানে সাংবিধানিক কাজ হয়। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছে সেটা অমান্য করে কাঁসর, ঘণ্টা বাজাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। FIR- এর মত অপরাধ মনে হয়ছে পুলিসের।

দুইপক্ষের সওয়াল শোনার পর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, একই রকমের মামলায় তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে এই আদালত। তাই এই মামলাতেও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল করা হল ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত পুলিস আবেদনকারীকে গ্রেফতার করতে পারবে না। ১০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

আগের শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় ঘটনার দিন বিধানসভায় কী হয়েছিল, রীতিমতো ল্যাপটপে খতিয়ে দেখেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কলকাতা পুলিসের জমা করা ফুটেজে শুধু শাসক দলের বিধায়কদের ছবি, অন্যপক্ষ অর্থাত্ বিজেপি বিধায়কদের ধর্নার ছবি নেই। কেন দুই পক্ষের ছবি নেই, প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ভিডিও পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখে বিচারপতির প্রশ্ন, 'শাসক দলের বিধায়করা স্লোগান দেন গলি, গলি মে শোর হে, নরেন্দ্র মোদী চোর হে। প্রধানমন্ত্রীর নাম করে স্লোগান দেওয়ার পর কী করে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো যায় বা গাওয়া যায়? প্রত্যেক বিদ্যালয়ের শুরু এবং শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে। যাঁরা মন্ত্রী বা বিধায়ক হয়েছেন, তাঁরা নিয়ম বা নিষ্ঠা মানবেন না, এটা হতে পারে না।' সেকশন তিন মেনে জাতীয় সংঙ্গীত গাইতে হয় মন্তব্য করেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতির। তাহলে জাতীয় সঙ্গীত গাওযার জন্য ওই সময় কেন বেছে নিয়েছিল শাসক দল আর কোন ভিত্তিতে কলকাতা পুলিস বিজেপি বিধায়কদের নোটিস পাঠিয়েছে, জোড়া প্রশ্নের জবাব তলব করেছিল হাইকোর্ট। বিধায়কদের গ্রেফতার করা যাবে না বলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। ফলে এদিনও একই বিষয় সংক্রান্ত মামলায় বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকেও গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল হাইকোর্ট।


Follow us on :