Share this link via
Or copy link
রাজ্যের মানুষকে সঠিক ও কম খরচে চিকিৎসা প্রদানের জন্যই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য়সাথী প্রকল্পের শুরু করেছিলেন। এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের শুরু হওয়ার পর থেকেই পরিষেবা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। সামনে এসেছে বহু অভিযোগ ,কখনও সঠিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না , আবার কখনও কার্ড দেখালেও মিলছে না পরিষেবা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে তুঙ্গে চর্চা। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বড়সড় বদল আনল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের রেফারে এবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালে আর হাড়ের অস্ত্রোপচার করানো যাবে না, করাতে হবে সরকারি হাসপাতালেই। এই মর্মে রাজ্য় সরকারে তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে হাড়ের অস্ত্রোপচারের জন্য পরিষেবা ও পরিকাঠামো উন্নত করা হয়েছে। যা থেকে উন্নত চিকিৎসা পেতে পারেন রোগীরা। তাই হাড়ের অস্ত্রোপচারের জন্য আর বাইরে রেফার না। তবে যদি জরুরী অবস্থার দেখা যায় ,যেখানে আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন সেখানে,সরকারি রেফার এর প্রটোকল মেনে কাজ করতে হবে।
পাশাপাশি এই নির্দেশিকতাতে আরও বলা হয় যদি কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়,কোনও ধরনের প্রয়োজন ছাড়াই হাড় এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে রেফার করা হয়েছে।সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার উপযোগী সেই রোগী তবে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং নার্সিং স্টাফ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে অবিলম্বে এই নির্দেশিকা জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত , এর আগে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে হাড়ের অস্ত্রোপচারে জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। সেই সময় স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় সরকারি হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগের পরিকাঠামো যথেষ্ট উন্নত। তাই এখানেই এবার থেকে করা হবে চিকিৎসা ।এবার থেকে সেই একই নিয়ম লাগু করা হল রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের।এই নতুন নির্দেশিকায় আদৌও কোনও লাভ হবে কি না , নাকি উল্টে ভোগান্তির শিকার হতে হবে রোগীর পরিবারকে সেটাই এখন দেখার ।