Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: হঠাৎ করে রাজ্য বিজেপি ঠিক করেছিল যে তারা একটি জনসভা করবে এবং সেটি ধর্মতলার ঠিক ওই স্থানে যেখানে প্রতি বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাই পালন করে থাকেন। কিন্তু স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠতেই পারে ঠিক কাদের মগজ প্রসূত ভাবনা এই জনসভার? এখন এই মুহূর্তে যাঁদের হাতে রাজ্য বিজেপি চলেছে তাদের নিশ্চই। অর্থাৎ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরাই মূল উদ্যোগী। তৃণমূলের বক্তব্য, শুভেন্দু দীর্ঘদিন তাদের দলটি করেছেন কাজেই আজ বিজেপিতে গেলেও ধর্মতলা জনসভার মহিমা ভোলেন নি। হয়তো তাই একেবারে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে জনসভা করে তাক লাগিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা থাকতে পারে। এখানেও প্রশ্ন থাকতে পারে, এই পরিকল্পনা করে মমতার জনপ্রিয়তা ভাঙতে চাইছেন শুভেন্দু ? কিন্তু বাস্তব ঘটনা এই যে ঠিক এই স্থানেই ইতিমধ্যে বিজেপি জনসভা করেছে ২০১৪ র ৩০ নভেম্বর , এবারে যা ২৯ শে।
সেবারেও প্রধান বক্তা ছিলেন তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবারেও তিনিই। ঠিক প্যারাডাইস সিনেমার পাশেই হয়েছিল মঞ্চ। সে সময়ের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা দাবি করেছিলেন তাদের লক্ষাধিক মানুষ হাজির হয়েছিল এবারে কিন্তু গল্পটি ভিন্ন। এবারে রাজ্য সরকার প্রথমে ধর্মতলায় সভা করার অনুমতিই দেয় নি পরে কোর্ট কাছারি করে শর্ত সাপেক্ষে সভা হবে। মাননীয় বিচারপতিকে জানানো হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে যে উপস্থিত থাকবে দশ হাজার সমর্থক এবং কিছু গাড়ি। বিচারপতি অনুমতি দেন ওই শর্তে। এবারে দশ হাজার একশো হলে ফের হাইকোর্টে যাওয়া হবে কি না তা সভার পরেই বোঝা যাবে।
যদিও শুভেন্দু বেশ ভালোই জানেন প্রতি বছর ২১ জুলাই এখানে কয়েক লক্ষ তৃণমূল হাজির থাকে। একদিকে পার্ক স্ট্রিট অন্যদিকে গনেশ এভিনিউ অবধি ভিড় চলে যায় কিন্তু এই ভিড়ের কাছাকাছি ভিড় জমাতে না পারলে তো কুণাল ঘোষ বসে থাকবেন ব্যঙ্গ করতে কিন্তু তবুও তাঁরা চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন তার একটাই কারণ ইদানিং তাদের সংগঠনের অবস্থা আর আগের মতো নেই সুতরাং এই ধরণের একটি সভা করলে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটতে পারে। কাজেই কঠিন চেষ্টাই করছেন বর্তমান নেতারা।