Share this link via
Or copy link
ভুয়ো পুলিস পরিচয় দিয়ে আর্থিক প্রতারণার জাল বুনে শেষমেশ পুলিসের হাতেই ধরা পড়লো দুই দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণী থানার গয়েশপুর পুরসভার কাঁটাগঞ্জ এলাকায়। বুধবার, ধৃতদের কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জন্য পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গয়েশপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাগঞ্জ এলাকায় মুনমুন চক্রবর্তী নামে এক মহিলার বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন তরুণকুমার দাস। তাঁর আসল বাড়ি বেহালার সরশুনায়। পেশায় তিনি একজন হোমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। তিনি লেকটাউনের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হোমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক বিষয়ে অধ্যাপক ছিলেন। যে প্রতিষ্ঠানের মালিক অরূপকুমার যশ। তরুণকুমার দাস বলেছেন, তাঁকে পুলিস সেজে এসে তুলে নিয়ে যায় চার দুষ্কৃতী। একবার নয়, দু-দুবার তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু কেনো? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক অরূপকুমার যশকে প্রচুর অর্থ দিয়ে সেখানে ভর্তি হন অপহরণকারীরা। তবে সেখানে কোনও কাজের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানের তরফে করে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ অপহরণকারীদের। এমনকি তারা লেকটাউনে গেলে পুলিস দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেন ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক অরূপকুমার। সে কারণেই এই অপহরণ।
যেহেতু তরুণকুমার দাস ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ছিলেন, সেহেতু তাঁদের ধারণা হয় তিনিও ওই টাকার ভাগ পেয়েছেন। তরুণকুমার দাস জানান, তিনি অধ্যাপক হিসেবে বেতন পেতেন। এর বেশি কিছু সুবিধা ভোগ করেননি। অপহরণকারীরা তা বিশ্বাস না করে তরুণকুমার দাসকে প্রথমবার বেদিভবন এলাকায় তাঁর চেম্বার থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তমলুকে। তরুণবাবুর ধারণা, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি গৌণ। আসল বিষয় হলো তাঁর পারিবারিক সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা বলে তাঁর অভিযোগ। কেননা, প্রথমবার অপহরণের পর দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাঁকে শিয়ালদহ এলাকায় ছেড়ে দেয়। এদের সমস্ত রকম সাহায্য-সহযোগিতা করেছিল তাঁর চেম্বারে কাজ করা সুমন নন্দী ওরফে বুড়ো। তার কাছ থেকেই পৈত্রিক সম্পত্তির হদিশ পায় অপহরণকারীরা। এমনই অনুমান তাঁর। কিন্তু কেন তাঁকে অপহরণ করেও ছেড়ে দেওয়া হয়? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অপহরণকারীরা ভেবেছিলো তাঁর পরিবারের লোকজন এবিষয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছে। সেই ভয়েই তাঁকে ছেড়ে যায় শিয়ালদহে।