Share this link via
Or copy link
ফের ভর সন্ধ্যায় নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের (Sexual assault) চেষ্টা। উপস্থিত বুদ্ধির জেরে পালাতে সক্ষম হলেও, তার উপর চলেছে পাশবিক নির্যাতন (Torture)। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) নাবালিকার দাদা অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঘটনাটি ঘটেছে শিক্ষক দিবসের (Teacher's Day) দিন অর্থাৎ সোমবার অশোকনগর (Ashokanagar) থানা এলাকায়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ইতিমধ্যেই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।
জানা গিয়েছে, এদিন টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে অশোকনগর নয়াসমাজ এলাকায় ওই নাবালিকার পথ আটকায় তারই এক সহপাঠী এবং এক টোটো চালক যুবক। এরপর জোরপূর্বক নাবালিকাকে টোটোতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের একটি জঙ্গলে। সেখানে ওই দুই অভিযুক্ত নাবালিকার উপরে চালায় অকথ্য অত্যাচার চালায়। এমনকি যৌন নিগ্রহের চেষ্টা করা হয়। এক প্রকার নাবালিকার উপস্থিত বুদ্ধিতেই চিৎকারের ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে কোনও মতে পালাতে সক্ষম হয়। রাতে বাড়ি ফিরে গোটা ঘটনাটি নাবালিকা তার পরিবারকে জানায়। এরপরে পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার গভীর রাতে অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে অশোকনগর থানার পুলিস। অভিযুক্ত দুজনের মধ্যে নাবালিকার সহপাঠীকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার সল্টলেক জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয়ছে। অন্যদিকে বুধবার গোপন জবানবন্দির জন্য নাবালিকাকেও কোর্টে পাঠানো হয়। তবে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত টোটো চালক যুবক ঘটনার পর থেকেই ফেরার।
তবে তদন্তে নেমে পুলিস ওই পলাতক অভিযুক্তের বাড়ির সামনে টোটোটি দেখতে পায়। ছেলে কোথায় জানতে চাওয়া হলে অভিযুক্তের বাবা জানিয়েছেন, ছেলে নিখোঁজ, তিনি আর কিছু জানেননা।
বুধবার এই গোটা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে দিল্লিতে থাকা নাবালিকার দাদা সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার নানা অভিযোগ তোলেন। এবং ফেরার অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবিও তুলেছেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় শাসকবিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি এবং সিপিএম একযোগে পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন। বিরোধীদের এই কটাক্ষের কোনও গুরুত্ব না দিয়ে অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।
তবে গোটা ঘটনা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন নাবালিকার পরিবার। কারণ নাবালিকা এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন। কিন্তু মেয়ে একা একা স্কুলে যাবে কী করে বা টিউশন পড়তেও বাইরে যাবে কীভাবে? তার উপর মূল অভিযুক্ত এখনও ফেরার। সে বিষয় নিয়েও নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে আতঙ্ক এবং আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।