Share this link via
Or copy link
এখনই বিদায় নয় বর্ষার। উপরন্তু, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া (Weather) দফতর। এমনকি বন্যা ও ধসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) ক্ষেত্রে কোনও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি। কোনও কোনও জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলেছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার সারা দিন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে জলস্তর বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ ধসের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। আপাতত দুদিন তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরের তিন দিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর, আজ, সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি সম্ভাবনা থাকলেও বাকি জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ১২ অক্টোবর বুধবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গেও দুদিন তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন না হলেও পরের তিন দিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রি ও ২৭ ডিগ্রির মধ্যে। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ।