Share this link via
Or copy link
চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েকজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথির এক স্কুল শিক্ষকের (School Teacher) বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস। শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে কাঁথি থানার পুলিস অভিযুক্ত শিক্ষককে শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম দীপক জানা। তাঁর বাড়ি ভূপতিনগর থানার মূলদা গ্রামে। যদিও দীর্ঘদিন ধরে কাঁথি শহরের ১৭ নং ওয়ার্ডে করকুলি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন অভিযুক্ত। রবিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে কাঁথি আদালতে পেশ করবে পুলিস বলে খবর। পুলিস হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হবে বলে খবর৷
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে নতুন নতুন নাম৷ গ্রেফতারির তালিকাও দীর্ঘতর হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে হাজতবাস করছেন রাজ্য শিক্ষা দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন৷ এবার সেই তালিকায় ঢুকে গেল কাঁথির এক স্কুল শিক্ষকও৷ স্থানীয় সূত্রের খবর, ধৃত দীপক জানা কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া জগন্নাথ মন্দির বিদ্যাপীঠের ইংরেজির শিক্ষক। এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর। ২০১৭ সাল থেকে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, বিভিন্ন জেলা থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে দীপকের বিরুদ্ধে৷ ওই ঘটনায় সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক রাজশেখর মান্থার এজলাসে চাকরি দুর্নীতির মামলা ওঠে৷ তারপরই সামনে আসে কাঁথির এই স্কুল শিক্ষকের প্রসঙ্গ৷
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কাঁথি শহরে। জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে ও এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদার বাসিন্দা অঞ্জলি গুচ্ছাইত ও কাঁথি কিশোরনগরের বাসিন্দা চিরঞ্জিত দাস কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ, ফুড সাপ্লাই দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন দীপক জানা৷
অন্যদিকে,অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে কাঁথি থানার পুলিস। এরপরই শনিবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস শ্বশুরবাড়ি থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক দীপক জানাকে গ্রেফতার করে। যদিও অভিযুক্ত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেন, 'সবটাই মিথ্যা অভিযোগ। তাঁকে ফাঁসানোর জন্য এই অভিযোগ করা হচ্ছে। তদন্তে সবটা প্রমাণ হয়ে যাবে। এখন গোটা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ।'