Share this link via
Or copy link
এক ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াকে একাধিকবার যৌন নিগ্রহে (Sexual Offence) কাঠগড়ায় এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, নিগৃহীতা এবং অভিযুক্ত দু'জনেই পড়শি। নদীয়ার (Nadia Incident) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কৃষ্ণগঞ্জের আদিত্যপুর এলাকার এই ঘটনায় অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে সরব এলাকাবাসী। জানা গিয়েছে, নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিস। থানার বড়কর্তা নিজে এই তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসোর (POCSO) সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তি হবে। এই আশ্বাস দিয়েছেন থানার বড়কর্তা।
জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে নির্যাতিতার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত ছিল অভিযুক্তর। নির্যাতিতার বাবা পেশায় একজন দিনমজুর। পারিবারিক দৈন্যতার সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি বিভিন্ন অছিলায় একাধিকবার স্থানীয় একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করে। এমনকি, এই নিগ্রহ সম্বন্ধে কাউকে কিছু জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় ছাত্রীর পরিবারকে। এমনটাই স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, সোমবার একইভাবে ছাত্রীকে এলাকার এক বাগানে নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহ করে অভিযুক্ত। এই সময় ঘটনাটি দেখে ফেলেন এলাকাবাসী। অভিযুক্ত এলাকায় দাপুটে এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় প্রাথমিকভাবে কেউ মুখ খোলেনি। কিন্তু মঙ্গলবার সম্পূর্ণ ঘটনা জানিয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার।
যদিও এই ঘটনা চাউর হতেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। অভিযোগ, পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকার রফা করে মামলা তুলে নিতে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসেন অভিযুক্তর স্ত্রী। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে অভিযুক্তর কড়া শাস্তির দাবিতে সরব নির্যাতিতার পরিবার। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। উপযুক্ত শাস্তি পাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি, এমনটাই সংবাদ মাধ্যমকে জানান কৃষ্ণগঞ্জ থানার বড়কর্তা।