২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Basirhat: তৃণমূল ছাত্রনেতাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ পুলিস কনস্টেবল, থমথমে শাকচূড়া বাজার
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-11-22 14:49:54   Share:   

সোমবার রাত ১০টা নাগাদ বসিরহাটের (Basirhat Firing) শাকচূড়া বাজারে দুষ্কৃতীর ছোড়া গুলিতে আক্রান্ত এক পুলিস কনস্টেবল (Police Constable)। জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ কনস্টেবল প্রভাত সর্দার বসিরহাট থানার অনন্তপুর ফাঁড়ির প্রভাত সর্দার। তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তাঁর সহকর্মীরা। অস্ত্রোপচার করে গুলিও বের করা হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম বেসে সোমবার রাতে বাজার এলাকার তাঁর কার্যালয়ে ঝামেলা এবং বচসায় জড়ান। সেই ঝামেলা মেটাতে যান অনন্তপুর ফাঁড়ির কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা ও উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Pargana) জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান বুলবুল।

অভিযোগ, তখনই ওই দলীয় কার্যালয়ে থাকা এক দুষ্কৃতী ছাত্রনেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেই ধেঁয়ে আসা গুলি দেখতে পেয়ে কনস্টেবল প্রভাত সর্দার, আশরাফুজ্জামান বুলবুলকে নিচে বসিয়ে দেয়। তখনই সেই গুলি এসে লাগে ওই পুলিসকর্মীর বাঁ কাঁধে। তারপর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শূন্যেও কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক বচসা। অন্য পুলিস গিয়ে ওই পুলিসকর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। তারপর তাঁকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বারাসাতের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত সুস্থ রয়েছেন প্রভাতবাবু।


অভিযোগ, সিরাজুল বেসের কার্যালয়ে মজুত আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই এই গুলি চালনার ঘটনা। এই সিরাজুল আগে তৃণমূল করলেও এখন এলাকার আইএসএফ নেতৃত্বাধীন জোটের নেতা। ওর কার্যালয় থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকা উত্তপ্ত করে করতে এই ঘটনা। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।

এদিকে, যাকে উদ্দেশ্য করে প্রথমে গুলি চলে, সেই ছাত্র নেতা আশরাফুজ্জামান বুলবুলের দাবি, 'জোটের নেতা সিরাজুল বেসের অফিসের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, ভিতরে শুনতে পাই একটা বাচ্চাকে মারধর করা হচ্ছে। আমি গিয়ে জানতে চাই কেন মারধর করছেন? আমার ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিস এসে যায়। ওরা মেশিন নিয়ে রেডি ছিল, আমাকে দেখেই গুলি চালায়। সেই দেখে এক পুলিসকর্মী আমাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের গাঁয়ে গুলি লাগে।'

সূত্রের খবর, বসিরহাটের পুলিস গুলি-কাণ্ডে ৪১ জনকে গ্রেফতার করলো বসিরহাট থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিসকে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ ও অস্ত্র উদ্ধার মামলায় অভিযোগ রুজু করেছে বসিরহাট থানার পুলিস। তাঁদের থেকে তিনটি ধারালো অস্ত্র, দুটি বন্দুক ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত একচল্লিশ জনকে মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা তোলা হয়েছিল।এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে পুলিস সুপার জানান, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। আমাদের একজন কনস্টেবল আহত। 


এদিকে, তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতির অপসারণ চেয়ে পথে নামেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। টায়ার জ্বালিয়ে চলে প্রতিবাদ। পাশাপাশি অভিযুক্ত সিরাজুল বেসের শাস্তির দাবিতে পথে নামেন শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা। অপরদিকে, ধৃতদের 'বিনা দোষে' গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে তাঁদের মুক্তির দাবিতে বসিরহাট থানার সামনে জড়ো হয়েছিলেন অভিযুক্তদের পরিবার। থানা ঘেরাওয়ের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে লাঠিচার্জ করে জমায়েত হটিয়েছে বসিরহাট জেলা পুলিস।


Follow us on :