Share this link via
Or copy link
উন্নয়ন হয়েছে নাম মাত্র। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে শুধুই হয়েছে উদ্বোধন, তারপর সবই বন্ধ। এমনই অভিযোগ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বাগদা (Bagda) বিধানসভায় লক্ষাধিক মানুষের। বাগদা-সহ এর আশেপাশের একাধিক এলাকার মানুষ জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার (Emergency health services) প্রয়োজনে দিনরাত বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে (hospital) ছুটে আসেন৷ স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল, প্রসূতি মহিলাদের (pregnant woman) জন্য সিজার ওয়ার্ড চালু করার। এরপরই বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷ বৈঠকের পর চালু হয় এই পরিষেবা৷ কিন্তু কয়েক মাস পরই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ক্ষুব্ধ বিরোধী দল সহ সাধারণ মানুষ৷
বাগদা ব্লক হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনজন চিকিৎসক নিয়ে এই বিভাগটি চালু হয়েছিল৷ তবে বর্তমানে একজন চিকিৎসক উচ্চ শিক্ষার জন্য চলে যাওয়ায় প্রসূতিদের জন্য সিজারের ওয়ার্ডটি প্রায় বন্ধের মুখে৷ তবে দ্রুত চিকিৎসক এনে পরিষেবা আগের মতোন সচল করার পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের৷ বিশ্বজিৎ বাবু আশ্বাস দেন, দ্রুত স্বাভাবিক হবে এই পরিষেবা৷
প্রসঙ্গত, গত ১৭ই নভেম্বর ২০২১ মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাগদা হাসপাতালে সিজার ওয়ার্ডের আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়াও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটা করে গত ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০২২ উদ্বোধন করেছিলেন বাগদার বিধায়ক। কিন্তু কয়েক মাস পরের থেকেই বন্ধ হয়ে পরে আছে সিজার ওয়ার্ডটি।