২২ মে, ২০২৪

Kalyani: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ বছর ষাটের বর্ষীয়ান রেল কর্মীর বিরুদ্ধে
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-07-14 11:15:07   Share:   

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাস। বর্ষীয়ান রেলকর্মী (Railway worker) গোপালচন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উঠেছে এই গুরুতর অভিযোগ। ঘটনাটি কল্যাণী সীমান্ত (kalyani simanta) এলাকার। বছর ৬০-এর গোপালচন্দ্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাসে লিপ্ত ছিলেন পায়রাডাঙার বাসিন্দা বছর ২৬-এর সুস্মিতা সেনর সঙ্গে। বছর তিনেক আগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুস্মিতা সেনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন গোপালচান্দ্র বিশ্বাস। কিন্তু সুস্মিতা বিয়ের কথা বললেই অত্যাচার (torture) করা হতো সুস্মিতাকে, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।

সম্প্রতি বিয়ের কথা বলায়, জুলাই মাসের ২ তারিখ সুস্মিতাকে মারধর করে। জোর করে গাড়িতে চাপিয়ে সুস্মিতার পায়রাডাঙার বাড়িতে ছেড়ে আসে গোপাল। বৃহস্পতিবার সকালে সুস্মিতা গোপালের কল্যাণীর বাড়িতে আসেন তাঁর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিতে। কিন্তু তা তাকে দেওয়া হয়নি কিছুই, উল্টে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই সুস্মিতা দ্বারস্থ হন কল্যাণী থানায়। খবর পেয়ে পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিক এরকম অভিযোগ রয়েছে গোপালচন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ১৯৯১ সালে কল্যাণীরই ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজাতা মণ্ডলের সঙ্গে গোপাল বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিবাহের পূর্বে দুজনের সহবাসের দরুন গর্ভবতী হয়ে পড়েন সুজাতাদেবী। সুজাতাদেবীকে বারবার গর্ভপাতের জন্য  চাপ দেয় গোপাল। সুজাতাদেবী রাজি না হওয়ায় ৭ মাসের গর্ভবতী সুজাতার পেটে লাথি মারেন গোপাল। বিশেষভাবে সক্ষম এক সন্তানের জন্ম দেন সুজাতাদেবী। তারপর বেশ কয়েকবার সেই সন্তানকে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেন গোপাল।এমনই অভিযোগ সুজাতার। শেষে এই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে গোপালকে ছেড়ে চলে আসেন সুজাতা তাঁর বাড়িতে। বিস্তারিত এসব তথ্য উল্লেখ করে কল্যাণী থানার দ্বারস্থও হন সুজাতাও। পরে কল্যাণী আদালতের অভিযোগ দায়ের করেন সুজাতা, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।

এদিকে স্থানীয় দের দাবি, এর আগেও স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলারও ঘটনা ঘটেছিল। পাশাপাশি মেয়ে বিক্রির সঙ্গেও জড়িত এই বছর ৬০-এর রেলকর্মী গোপালচন্দ্র বিশ্বাস বলে অভিযোগ রয়েছে।

গোপাল বাবুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী জানিয়েছেন, " তাঁর উপর বহুবার জীবননাশক ব্যবহার করেছিলেন গোপাল বিশ্বাস। তিনি গর্ভবতী অবস্থায় যখন ছিলেন তখন তাঁকে উদরে লাথি মারেন, যার জন্য তাঁদের সন্তান বিশেষভাবে সক্ষম হয়।এর আগেও এক স্থানীয় মহিলার সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছিলেন।"  তার পাশাপাশি একজন মেয়েকে বিক্রির অভিযোগ করেছেন সুজাতা। তিনি দাবি জানিয়েছেন, গোপালের যাতে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি হয়।

গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের প্রতিবেশী শম্পা দেবী জানিয়েছেন, " গোপাল বাবু অনেকদিন ধরে এখানে এই মেয়েটিকে এনে রেখেছেন। মেয়েটিকে কখনো কখনো শাখা , সিঁদুর পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। গোপাল বিশ্বাসের আগের পক্ষের স্ত্রীর কথাও শোনা যায় শম্পা দেবীর মুখে"।


Follow us on :