Share this link via
Or copy link
রাজ্য়ের পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার অনুমদিত ই-টিকিট বিক্রির ট্রাভেল সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। এই খবর চাউর হতেই নড়েচড়ে বসল সরকারি পরিবহন সংস্থা। টার্মিনিটেড করা হল দুর্গাপুরের সরকারি পরিবহন সংস্থার অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট নিউ ইউরেকা ট্রাভেলস ক্লাবকে।
দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ওই বেসরকারি ট্রাভেল সংস্থা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার ই-টিকিটের প্রিন্সিপাল বিক্রয় এজেন্ট ছিল। অভিযোগ, গত ২০১৮ থেকে ২০২১ এই তিন বছরে ওই সংস্থা সরকারি পরিবহন সংস্থার আই.ডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনৈতিক কিছু কাজ করে। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২১ আর্থিক বর্ষে ৭ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা এই সংস্থা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার কোশাগাড়ে জমা দেয়নি।
এরপর চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ওই বেসরকারি ট্রাভেল সংস্থার বিরুদ্ধে। তারপরেও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এই বিষয়ে। এরপর গত ২৬ নভেম্বর সিএন এই খবর সম্প্রচার করে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে সরকারি পরিবহন সংস্থা।
চলতি মাসের ৫ তারিখ একটি চিঠি ইস্যু করে জানিয়ে দেওয়া হয় গত ২৭ নভেম্বর ওই সংস্থাকে টার্মিনিটেড করা হয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে এতো বড় আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েও কেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা একটা সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি করে ফেললো? তাহলে কি কোনও প্রভাবশালীর ভয়েই কি এই কড়া সিদ্ধান্ত নিতে এতো দেরি? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে। যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত ট্রাভেল সংস্থার কর্তারা।