Share this link via
Or copy link
মণি ভট্টাচার্য: শুক্রবার রাতে মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda), ও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র রাজনৈতিক তরজা ঝাড়গ্রামে (Jhargram)। পুলিস জানিয়েছে এ ঘটনায় খুনের চেষ্টা সহ আরও বেশ কিছু জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে, তদন্তে নেমে এখনও ৪ কুড়মি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। শুক্রবার রাতে মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর করা হয় ঝাড়গ্রাম জেলার গড় শালবনিতে। ভাঙচুর করা হয় আরও ভিআইপির গাড়ি। কুড়মিদের নিয়ে অস্বস্তিতেই ছিল তৃণমূল, এর আগে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এলাকায় কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এই আবহেই মন্ত্রীর কনভয়ে হামলা, গাড়ি ভাঙচুরে কুড়মি সহ বিজেপিকে দুষেছেন মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুড়মি নেতৃত্ব ও বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।
এ বিষয়ে তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'কোনও ভাবেই এই আন্দোলনের সঙ্গে বিজেপি যুক্ত নয়, মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুরে বিজেপিকে দুষে কোনও লাভ নেই, কুড়মি আন্দোলনে বিজেপির পার্টি অফিসে ঢিল পড়েছে, দিলীপ ঘোষের বাড়িও ভাঙচুর হয়েছে।'
যদিও শনিবার সকালে সিএন ডিজিটালের তরফে ঝাড়গ্রাম জেলা কুড়মি আন্দোলনের আহ্বায়ক সুদীপ মাহাতোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'এই অভিযোগ মিথ্যে। কুড়মিরা কোনও ভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।' তিনি আরও বলেন, 'যখন শাসক দলের কনভয় থাকে তখন জেলার কর্মীরা ওনাদের রাস্তার দুইপাশে দাঁড়িয়ে থাকে, এ দৃশ্য নতুন নয়। তবে এ ঘটনা কে করেছে সেটা ধরার দায় পুলিস প্রশাসনের। প্রশাসনের গাফিলতিতেই এমন ঘটনা।' পাশাপাশি ৪ জন কুড়মি আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি নিয়ে বলেন, 'যতক্ষণ অবধি তাঁরা দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছেন, ততক্ষন তাঁদের সঙ্গে আছি। পুলিসের উপস্থিতিতে এমন ঘটনা হল এর ডে পুলিশকেই নিতে হবে।'
শনিবার এ বিষয়ে ওই জেলার পুলিস সুপার রাহুল সিনহা সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'পর্যাপ্ত পুলিস রাস্তায় ছিল। বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ হয়েছে, কোথাও কম কোথাও আবার বেশি পুলিস ছিল, গোটা রাস্তায় কোথায় কিভাবে পুলিসি নিরাপত্তা ছিল সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এখনও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে।'