Share this link via
Or copy link
কদিন আগেই বাবাকে ফোন করে ছেলে বলেছিল টাকা পাঠাচ্ছি ফল কিনে খেও। দিন দুয়েকের ব্যবধান, কথাগুলো রয়ে গেল স্মৃতির পাতায়। আবারও মৃত্যু! আবারও হাহাকার, আর্তনাদ। সন্তানহারা এক বাবা-মায়ের বুক ফাটা কান্না। এটাই বাংলার যুব সমাজের ভবিতব্য? আবারও সেই প্রশ্নই তুলে দিল বনগাঁর তিন শ্রমিকের মৃত্যু। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বছর ৩৬ এর পীযূষ হালদার, বছর ২৬ এর শঙ্কর বৈদ্য ও বছর ৪৬ এর মনোরঞ্জন সমাদ্দারের। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বনগাঁ সীতানাথপুর এলাকায় শোকের ছায়া।
একদিকে অভাবের সংসার অন্যদিকে রাজ্যে কাজ নেই। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পাড়ি দিয়ছিলেন মুম্বাইয়ের বরেলিতে। দোলের আগে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু একটা দুর্ঘটনা, বদলে দিল সবকিছু। ঘরের ছেলের আর ঘরে ফেরা হল না। অপেক্ষায় রয়ে গেল কারও ৫ বছরের ছেলে, তো কারও বৃদ্ধ বাবা-মা। এখন দিশেহারা পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, বাংলায় কাজ পেলে মুম্বইতে যেতে হতো না।
রাজ্যে কর্মসংস্থান থাকলে কাউকে বাইরে যেতে হতো না। বিজেপির নিশানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এক নিমেষে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। একটা মৃত্যু তুলে দেয় হাজার প্রশ্ন। শুরু হয় রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি। তবে কী বাংলায় জন্মানোই অপরাধ?