Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: রজার বিনির (Roger Binny) বিসিসিআইয়ের (BCCI) সভাপতি হওয়ার চিত্র পরিষ্কার। নিশ্চিত অমিত পুত্র জয়ের (Jay Shah) সচিব পদে থেকে যাওয়া। কিন্তু বাকি অনেক পরিবর্তন হচ্ছে ভারতীয় বোর্ড তথা ক্রিকেট দলে বলে গুঞ্জন বাজারে। প্রথমে হকি তারপর ফুটবল, শেষে ক্রিকেট বোর্ডেও পরোক্ষভাবে কেন্দ্রীয় শাসক দলের অঙ্গুলিহেলন। এমন একটা সমালোচনা বিরোধী শিবিরে। যদিও ক্রীড়া সংস্থা এমন একটা প্রতিষ্ঠান, যেখানে বরাবর রাজনৈতিক মধ্যস্থতা। যে যখন ক্ষমতায়, কমবেশি তাঁদের গুডবুকের লোকেরা শীর্ষ পদে। একাধিক পদে নেতা মন্ত্রী বা তাঁদের ঘনিষ্ঠরা দায়িত্বে। এই বিষয়ে জোর চর্চা জাতীয় ক্রীড়ামহলে।
তবে রাজ্য ক্রীড়া সংস্থায় এভাবে নিজেদের লোক বসানো কঠিন। যেমন পশ্চিমবঙ্গ, দেখার সিএবিতে কারা আসছেন। যাঁরাই আসুন তাঁদের মাথার উপর যে রাজ্য শাসক দলের আশীর্বাদ থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি সৌরভের আমলে ভারতীয় ক্রিকেট দলে অনেক পরিবর্তন এসেছিল। রবি শাস্ত্রীকে এক প্রকার বিদায় জানিয়ে সৌরভের বন্ধু এবং ভারতীয় ক্রিকেটের মিস্টার ডিপেন্ডেবল রাহুল দ্রাবিড়কে কোচিংয়ের দায়িত্বে এনেছে বিসিসিআই। একইভাবে জুনিয়র দলে দায়িত্ব পেয়েছিলেন সৌরভের আরও এক প্রিয়পাত্র ভিভিএস লক্ষণ।
তাঁরা এখনও দায়িত্বে আছেন এবং চট করে তাঁদের সরানো কঠিন কাজ। তা হবু বোর্ড কর্তারা ভালোই জানেন। তবে দ্বিতীয় টার্মে তাঁদের রাখা হবে কিনা সময় বলবে। এমএস ধোনির উপর শোনা গিয়েছে সৌরভ অখুশি ছিলেন। তাঁকে বিভিন্ন সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট কোহলির প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে। তবে বিরাটের অধিনায়কত্ব ছাড়া আবার এই সৌরভের আমলেই। ধোনি আচমকাই খেলা ছেড়ে দেন। প্রথমে টেস্ট ম্যাচ, পরে ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকেও। অবশ্য তার অনেক আগে তাঁর হাত থেকে ওডিআইয়ের নেতৃত্ব নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কোহলি কিন্তু গাঙ্গুলি স্যারের ইয়েস ম্যান না হয়ে নতুন কোচ রবি শাস্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বিসিসিআইয়ে এমনটাই কানাঘুষো।
বিরাটের খেলার ফর্মের অবনতি ঘটলে রোহিত শর্মাকে নিয়ে আসা হয় অধিনায়কত্বে। এই পরিবর্তনের পিছনেও নাকি দাদার মস্তিষ্ক কাজ করেছে। সম্প্রতি শোনা গেলো নতুন কমিটি নাকি কোহলির বিষয় ফের উৎসাহী। অন্যদিকে বাংলার শামিকে শুধুমাত্র টেস্ট ম্যাচের জন্য ধরে রাখা হয়েছিল। বুমরার চোট থাকায় দ্রুত শামিকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবশ্য রবিবারের প্রাকটিস ম্যাচ এবং সোমবারের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন শামি। রইলো বাকি কোহলির প্রিয় উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা, দেখতে হবে তিনিও ফিরছেন কিনা।