Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার স্বাভাবিকভাবেই ক্রীড়াপ্রেমীদের মন খারাপ। বাঙালিদের বিশেষ করে দুর্গাপুজো আসার আগে বা চলাকালীন আপামর বাঙালি ভুলেই যায় তাদের নিয়মিত জীবনযাত্রা। আবার বিজয়ার মন খারাপ। স্লোগান ছিল আসছে বছর আবার হবে। বিশ্বকাপের আবেগ অনেকটাই তেমনই দুই বাংলার কাছে। এখনও মেসি-এমবাপেদের নিয়ে আলোচনা রয়েছে। কাতার বিশ্বকাপ দেখিয়ে দিয়েছে বিলাসবহুল টুর্নামেন্ট কাকে বলে।
অন্যদিকে আজকের বিশ্বকাপে সেরা বা কমজোরি ইত্যাদি শব্দগুলি বাতিলের খাতায় চলে গিয়েছে। আজকের ফুটবলে সবাই উনিশ-বিশ। অনেকেই দিন গোনা শুরু করেছে আগামী বিশ্বকাপের। আগামী বিশ্বকাপের ৪ বছর দেরি নেই, বরং সাড়ে তিন বছর বাদেই ফের হতে চলেছে। এবারে বহুদূরে ভারত থেকে। উত্তর আমেরিকায়। ইউনাইটেড ২০২৬ নামকরণে হবে বিশ্বকাপ। দায়িত্বে ইউএস, কানাডা, মেক্সিকো।
এই প্রথম তিনটি দেশ দায়িত্ব পাচ্ছে বিশ্বকাপের যা অভিনব। এর আগে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ ভাবে ২০০২ এর বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল। খেলায় ৩২টি দল থাকতো, এবার থেকে ৪৮টি দল খেলবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে ২-৪-৮-১৬-৩২ এই ভাবেই চূড়ান্ত দল ফাইনালে জয়ী জল। ৪৮এ কী ভাবে সম্ভব? তারও সমাধান করেছে ফিফা।
অতিরিক্ত ১২ দলকে নেওয়া হলেও ভাগাভাগি হবে অন্য ভাবে। সাধারণত ৮টি গ্রুপে ভাগ করে প্রতি গ্রুপ থেকে ২টি দলকে নক আউট পর্যায়ে অর্থাৎ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত করা হতো। এবার ১৬টি গ্রুপ করা হচ্ছে। প্রতি গ্রুপে লীগ পর্যায়ে ৩টি করে দল নিজেদের মধ্যে ২টি করে ম্যাচ খেলবে এবং দুটি দল পরের রাউন্ডে উঠবে নক আউট পর্যায়ে খেলতে। সেখান থেকে যাবে ধাপে ধাপে ফাইনালে। ফিফার মতে এতে প্রথম রাউন্ডে সেরা দলগুলির চাপ কমবে। কিন্তু এতেও প্রতিবাদ উঠেছে। জার্মানির প্রাক্তন কোচ জোয়াকিম লো বলেছেন, আজকের দিনে সেরা কারা? সবাই তো সেরাটা দিতেই বিশ্বকাপে প্রি ওয়ার্ল্ড কাপ খেলে।
যদিও তিনটি দেশে খেলা ধার্য হয়েছে কিন্তু ব-কলমে আমেরিকার হাতেই থাকছে প্রধান খেলাগুলি। ১৬টি মাঠে খেলা হবে, তার মধ্যে আমেরিকাতেই ৬০টি খেলবে। মেক্সিকো- কানাডায় হবে দশটি করে ম্যাচ। ফাইনাল রাউন্ডের প্রায় সব খেলায় থাকবে আমেরিকার হাতে।