Share this link via
Or copy link
সৌমেন সুর: শ্রী রবিশঙ্কর বলেছেন, 'ভালোবাসাই পৃথিবীর চালক। বসুধৈব কুটুম্বকম। কৃষ্ণের ছলনায় ভুলো না। রাধার মতো চালক হও। কৃষ্ণ রাধা থেকে পালিয়ে যেতে পারতেন না। কারণ রাধার সমস্ত জগৎই ছিল কৃষ্ণময়।' কৃষ্ণ হলেন দিব্যশক্তি। আমাদের মধ্যে রয়েছে সেই কৃষ্ণ, সেই দিব্যশক্তি। তাঁকে খুঁজতে হবে, তাঁকে ধরে থাকতে হবে। তাঁর জন্য আমাদের সংকল্প করতে হবে। পৃথিবীতে সার্বিক সংকল্প হল সেবা। যদি আমাদের জীবনে কোনও ভয় থাকে, তাহলে তা এসেছে সংকল্পের অভাব থেকে।
আধ্যাত্মিকতা ও রাজনীতি, দুটোই মানুষকে নিয়ে কাজ করে। অধ্যাত্মিকতাহীন রাজনীতি মানুষকে বিকৃত করে। অসাধু তৈরী করে এবং আবওহাওয়ায় কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করে রাজনীতি ও মানবতাহীন রাজনীতি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, অপরাধ প্রবণতা ও অসাধুতা সৃষ্টি করে। কথা হল, রাজনীতি ও আধ্যাত্মিকতা একসঙ্গে চলার প্রয়োজন আছে। একমাত্র আধ্যাত্মিকতাই পারে আত্মবিশ্বাস ও দায়বদ্ধতা তৈরী করতে। প্রশাসনে যারা থাকেন, তাদের জন্য মানবিকতা ও এই মূল্যবোধগুলি বিশেষ প্রয়োজন। যিনি সকলকে সমানভাবে দেখতে পারেন। অর্থাৎ একজন নেতার সমদর্শী হওয়া প্রয়োজন। সত্যাদর্শী সত্য দ্বারা চালিত হন। পারদর্শী তাঁর কাজে স্বচ্ছ হন। দূরদর্শী উদার মনের হন। প্রিয়দর্শিনীর মধ্যে প্রেম করুনার মৈত্রী থাকে। এইসব গুণগুলো প্রশাসনের জন্য জরুরি।
যদি সমাজে বিশৃঙ্খলা থাকে, আধ্যাত্মিকতার মূল্য না থাকে, তাহলে সেই সমাজকে পরিচালনা করা কঠিন। আধ্যাত্মিকতা মানুষকে সৎ ও দায়বদ্ধ করে। অপরাধ মুক্ত সমাজ তৈরির জন্য এটা প্রয়োজন। যখন ধর্মের নাম অনেক যুদ্ধ হয়, তখন আধ্যাত্মিকতা সাহস দেয়, আত্মবিশ্বাস তৈরী করে। এবং কঠিন সময়েও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করে মানুষকে। আজ ধর্ম ও রাজনীতির সংস্করণ দরকার। ধর্মকে অনেক বেশি আধ্যাত্মিক হতে হবে। কলার খোলসটা হল ধর্ম, আর ভিতরের শাঁসটা হল আধ্যাত্মিকতা। স্বাধীনতা দিতে হবে, প্রত্যেকের নিজের ধর্মকে, প্রার্থনাকে। তাহলে পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞান ভান্ডারকে এক করা যাবে। সমস্ত রাজনীতিবিদদের মধ্যে সহাবস্থান হয় না, তখনই আমরা পাই ছদ্মধর্মীয় নেতাদের। সবশেষে বলি, আধ্যাত্মিকতা জীবন সম্বন্ধে উদার দৃষ্টিভঙ্গি এনে দেয়। যাতে করে সকলের সঙ্গে সবকিছু ভাগ করে নেওয়া যায়। তথ্যঋণ- কোন বসু মিত্র।