১৫ মে, ২০২৪

Special story: শৈশবে বিবেকানন্দ (শেষ পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-06-08 15:45:44   Share:   

সৌমেন সুরঃ স্কুলে নরেন ক্লাসে মন দিয়ে শিক্ষকের পড়া শুনতেন। এত ইনভলভ্ হয়ে যেতেন যে, মাঝে মাঝে শিক্ষকেরই ভ্রম হয়ে যেতো। শিক্ষক মহাশয় মনে করতেন নরেন বুঝি ঘুমাচ্ছে। যখন বলতেন, এতক্ষণ কি বললাম বলো তো? নরেন শিক্ষকের সবটুকু lesson আগাগোড়া নির্ভুলভাবে বলে দেয়। শিক্ষক মহাশয়, নরেনের স্মৃতিশক্তি ছিল প্রখর। যার গুনে একটা গোটা বই একবার গভীরভাবে চোখ বোলানোর পর পুরো বই নির্ভুলভাবে বলতে পারতেন। ছেলেবেলায় নরেন তার বন্ধুদের নিয়ে একটা বাগানে খেলতে আসতেন। সেই বাগানের মালিক এদের খেলা বন্ধ করবার জন্য একটা ফন্দি আটেন। যখন ছেলেরা আসে তখন বাগানের মালিক ছেলেদের বলে, এখানে খেলাধূলা তোমরা কোরো না। ঐ গাছে একজন দৈত্য আছে, সে যদি দেখে, তোমাদের বারণ করা সত্ত্বেও তোমরা খেলছ- তাহলে দৈত্য রেগে গিয়ে তোমাদের চরম ক্ষতি করে দিতে পারে। এই কথা শুনে সবাই ভয়ে চলে যায়। কিন্তু নরেন ভয় পায় না। মালিকের বয়ান দেওয়া ঐ গাছে সত্যি দৈত্য আছে কিনা তা পরখ করবার জন্য সারারাত গাছে উঠে বসে থাকে। কিন্তু কোনো দৈত্যের দেখা পাই নি। এই ব্যাপারটা যখন মালিক জানতে পারে তখন উনি খেলার অনুমতি দেন। এখান থেকে আমরা দেখতে পাই- নরেনের সাহসিকতাও অকুতোভয়।

  আর একটা ছবি আমরা দেখতে পাই- ছোটবেলা থেকে তার নেতৃত্ব দেবার শখ। তাঁর সমস্ত বন্ধুদের মধ্যে লীডারশীপ নরেনের। নরেনকে সবাই নেতা হিসাবে মান্য করতো। নরেন যা বলতো, তা অত্যন্ত যুক্তিগ্রাহ্য ও মনোমুগ্ধকর। বিবেকানন্দের নেতা হওয়ার পিছনে ছিল, সবাইকে সমদৃষ্টিতে দেখা, সকলের প্রতি আন্তরিকতা এবং অন্যকে ছোট না করার মনোবৃত্তি, এগুলো প্রতিভাত হওয়ার দরুন বিবেকানন্দর নেতা হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছিল। উ্রনবিংশ শতাব্দীর যুৃব সমাজের পথপ্রর্দশক সেজে উঠেছিলেন ভবিষ্যতের জন্য। বিলে থেকে বিবেকানন্দ হয়ে উঠতে যে শ্রম, অধ্যবসায়, দৃঢ়তা, ইচ্ছাশক্তির দরকার ছিল, তা তাঁর শরীরের Out & out বিদ্যমান। নরেন জানতো, কিভাবে ভ্রাতৃত্ববোধ, মমত্ব দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায়। এই ভ্রাতৃত্ববোধ মানুষের মনে গাঁথতে পারলেই সারা বিশ্বকে গেঁথে নেওয়া একদম সহজলভ্য হয়ে দাঁড়াবে। এই মনোভাব ছিল বলেই তিনি একদিন যুব নেতা থেকে বিশ্বনেতা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। 


Follow us on :