Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: কোনও কিছু না দেখে, না বুঝে প্রতিবাদ (পড়ুন ঝামেলা) করার যুক্তি কোথায়? ভারতীয় রাজনীতিতে এ হেন কাণ্ডকারখানা প্রায়শই হয়ে থাকে। সিনেমা 'বয়কট'-এর রাজনীতি নতুন কিছু নয়। এক সময়ে জেমিনি ফিল্মসের 'শতরঞ্জ' এ রাজ্যে নকশালরা বন্ধ করে দিয়েছিল ৪ সপ্তাহ পর। ছবির অপরাধ, চিনে আটক এক নর্তকীকে নিয়ে ছিল ছবি। এরপর দেব আনন্দের 'প্রেম পূজারী' বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যেহেতু ভারত-পাক যুদ্ধে চিনের ভূমিকা দেখানো হয়েছিল। এরকম উদাহরণ ভূরি ভূরি আছে। যারাই এই ঘটনার নেপথ্যে, তাঁদের উগ্র প্রতিবাদের অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এরকমই চলছে সাম্প্রতিক শাহরুখ খানের 'পাঠান' ছবি নিয়ে। কিছু সংগঠন এই ছবি রিলিজ করতেই দেবে না ঠিক ছিল। সম্প্রতি বিজেপির দিল্লির সাংগঠনিক সভায় খোদ প্রধানমন্ত্রী অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে অযথা মন্তব্য করতে না করেছেন। তাঁর লক্ষে ছিল কি 'বয়কট ট্রেন্ড' প্রসঙ্গ? কোনওরকম বিবাদ-প্রতিবাদ করতে নাকি তিনি নিষেধ করেছেন। তারপরেও অরাজনৈতিক কিছু সংগঠন সারা ভারতজুড়ে ছবি বয়কট করার ডাক দিয়েছিল।
অবশেষে ছবিটি বুধবার ভারতজুড়ে বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে। এই ছবির একটি গান ঘিরে প্রতিবাদ উঠেছিল। নিঃসন্দেহে গানটা হিট। কিন্তু দীপিকার পোশাক বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল। সেই গানকে সেন্সরের চাপে আপাতত বাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও এরকম দৃশ্য 'রাম তেরি গঙ্গা মৈলিতে' অনেকবার দেখানো হয়েছে। কিন্তু কোনও প্রতিবাদ ছিল না।
রাজ কাপুরের অন্য ছবিতেও এই ধরণের দৃশ্য প্রচুর দেখা গিয়েছে। শুধু রাজ কাপুর কেন, বহু পরিচালকের ছবিতেও হট দৃশ্য ছিল। শুধু তবে পাঠান কেন প্রশ্ন ছিল সিনেমাপ্রেমীদের। ক্রোধ কি শুধু শাহরুখের বিরুদ্ধে? আজ ছবি দেখার পর মানুষ বলছে শাহরুখ তো এই ছবিতে এক দেশপ্রেমীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং উগ্রপন্থীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে বন্দিজীবন থেকে বেড়িয়ে লড়াই করছেন। সম্পূর্ণ এক দেশপ্রেমীর কাহিনী। না দেখেই যারা হৈ-চৈ করছেন, উচিত তাঁদের আমন্ত্রণ করে ছবিটি দেখানো। শাহরুখ তা পারবেন কি?