১৭ মে, ২০২৪

Ramkrishna: রথ টেনেছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, জানতেন কী
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-04-05 20:22:15   Share:   

সৌমেন সুর: বাগবাজারের ৭ নম্বর গিরিশ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িটি বলরাম বসুর বাসভবন। ভক্ত বলরাম, এই বাড়ির রথ, সাজানো হয়েছে ভীষণ সুন্দরভাবে। ছোট রথ, অথচ কী অপূর্ব। ফুল, মালা, পতাকায় সেজে উঠেছে অপরূপ সাজে। রথে শ্রীজগন্নাথ দেবের আরোহণের পর পরিবার প্রথা অনুযায়ী কুলপুরোহিত শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের আরতি করলেন। ভক্ত বলরাম জগন্নাথকে নিত্য সেবা দেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ভাব অবস্থায় বলরামকে দেখেছিলেন শ্রীচৈতন্যের কীর্তন দলে। গৃহী ভক্ত, জমিদার বংশের ছেলে কিন্তু মনটা বড় সরল। শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন, 'বলরামের পরিবার সব একসুরে বাঁধা। কর্তা গিন্নী ছাড়াও এ বাড়ির ছোট বড় সব ছেলেমেয়ে ঠাকুর ভক্ত। ভগবানের নাম না করে জলগ্রহণ করে না এবং পুজোপাঠ, সাধুসেবা, দানধ্যান প্রভূতিতে সকলের সমান অনুরাগ।' শ্রীরামকৃষ্ণের শতাধিকবার পাদস্পর্শে ধন্য এই বাড়ি। বর্তমান যার পরিচয় বাগবাজার বলরাম মন্দির।

কথামৃতের বর্ণনা অনুসারে জানা যায়, ১৮৮৪ সালে উল্টোরথের দিন ঠাকুর এই বাড়িতে প্রথম পদধূলি দেন। এর পরের বছর ১৪ জুলাই রথের দিন ঠাকুর উপস্থিত হন বলরামের রথযাত্রায়। সন্ধ্যায় জগন্নাথ দেবের আরতির পর রথযাত্রা শুরু হয়। শ্রীরামকৃষ্ণ ভাব অবস্থায় প্রথম টান দিলেন রথের রশিতে। শঙ্খ, উলুধ্বনি আর কীর্তনের সঙ্গে রথ চলতে থাকে।

রামকৃষ্ণ লীলাপ্রসঙ্গে স্বামী-সারদানন্দ বর্ণনা দিচ্ছেন, ঠাকুর স্বয়ং রথের রশি ধরে অল্পক্ষণ টানলেন, পরে ভাবাবেশে তালে-তালে নৃত্য করতে লাগলেন। সে সময় সকলেই আত্মহারা, ভাবভক্তিতে উন্মাদ। এরপর একসময় কীর্তন শেষ হয় এবং ঠাকুর ও অন্যান্য ভক্তরা প্রসাদ গ্রহণ করেন।

ভক্তজনের উপস্থিতিতে আজও এই বাড়ি পরিণত হয় যেন জগন্নাথ ক্ষেত্র এই কলকাতাতেই। রথের দিন আজও সেই একইভাবে পালিত হয় বলরাম ভবনে রথযাত্রা।


Follow us on :