১৫ মে, ২০২৪

Special story: মানুষের পাশে রবীন্দ্রনাথ
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-06-11 11:14:25   Share:   

সৌমেন সুর: ১৯১৪ থেকে ১৯১৯ সাল। প্রাথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠল। সারা পৃথিবী তঠস্থ হয়ে উঠল। চারিদিকে আগুন। মূল্যবোধের অবক্ষয়। সম্পদ ধ্বংস। জলে স্থলে শত্রু আর শত্রু। প্রচণ্ড হিংসায় উন্মত্ত হয়ে উঠল যুদ্ধের সেনাবাহিনী। চারিদিকে শুধু রক্ত আর রক্ত। রক্তস্রোত গড়িয়ে এলো প্রাচ্যের মাটিতে। কবির মনন ও কলম ধিকৃত হয়ে উঠল মানবতার অপমানে। রবীন্দ্রনাথ বললেন, 'বিশ্বের পাপের যে মূর্তি আজ রক্তবর্ণে দেখা দিয়েছে, সেই বিশ্বপাপকে দূর করো, বিনাশ থেকে রক্ষা করো।' কিন্তু একি, ধ্বংস যে মানে না। আসলে ধ্বংস চলছে তার নিয়মে। কবির কন্ঠে ধ্বনিত হোলো,'সমস্ত পাপের প্রায়শ্চিত্ত সকলকেই করতে হবে।' এরপর ঘোর বিভীষিকার বছর এলো ১৯১৯ সালে। পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগে। এক বৈশাখী উত্সবে জড়ো হয়েছিল প্রচুর মানুষ। শান্তিকামী-মানুষের সমাবেশ ছিল সেদিন। ইংরেজ শাসকের জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে নির্বিচারে গুলি চালানো হলো সেখানে। মরলো অধিকাংশ নিরপরাধ শিশু ও মহিলা। এই নারকীয় কাণ্ডের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল দেশ। কবি খবরটা শুনে শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় ছুটে এলেন। কবি কিছুতেই এই হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারেননি। 'নৈবেদ্য'তে তিনি লিখলেন, 'অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।' এরপর সারারাত ধরে এক ঐতিহাসিক চিঠি লিখলেন তখনকার ভাইসরয় লর্ড চেমসফোর্ডকে। দ্য স্টেটম্যান কাগজে সেই চিঠি পড়ে চমকে উঠল দেশবাসী ও সরকার। কবি সরাসরি 'নাইডহুড' উপাধি প্রত্যাখ্যানের দাবি করলেন। দেশের মানুষ তাঁর কাছে সবার আগে। মানুষই সব। এর চেয়ে বড় সম্মান আর কি হতে পারে। তিনি মানুষের পাশেই থাকবেন।   


Follow us on :