১০ মে, ২০২৪

DurgaPuja: পুজোর বাজার (পর্ব ১)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-09-26 19:50:38   Share:   

প্রসূন গুপ্তঃ বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বন। তা হলেও দুর্গাপুজো মানেই শ্রেষ্ঠ উৎসব। সারা বছরে এই সময়ে অর্থাৎ আশ্বিন মাসে বা কখনও কার্তিক মাসেও বাঙালি হিন্দুরা ধুমধাম করে দুর্গাপুজো করে থাকে। বলতে দ্বিধা নেই এমন অসাম্প্রদিক উৎসব বোধহয় আর কোথাও দেখা যায় না। পুজো তার নিজের মণ্ডপে কিন্তু বাকি সময়ে হৈচৈ, খাওয়া দাওয়া। বাংলার এমার্জেন্সি কাজ ছাড়া বাকি সমস্ত স্কুল কলেজে ছুটি। একই সাথে কলকারখানাতেও থাকে ছুটির মেজাজ। সরকারি, বেসরকারি অফিসগুলিতে পুজোর ৪ দিন অবশ্যই ছুটির মেজাজ। অনেকেই হয়তো মণ্ডপে মণ্ডপে না ঘুরে পরিবারকে সময় দেয় এই চারটি দিন। বাড়িতে রোজগার মতো খাবার তৈরি হয়। আজকাল অনেকেই চার দিনই হয়তো বাইরে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখে অবশ্যই ফের বলতেই হয় পকেটের হাল বুঝেই। অনেকেই পূজোর বোনাস পায়। অবিশ্যি তার অনেকটাই বাড়ির জামাকাপড় ইত্যাদি কেনাকাটাতে খরচ হয়। এই রাজ্যে বসবাসকারী অবাঙালিরাও এই উৎসবে ওই একই মেজাজে হাজির হয়।

আজকাল জিনিসপত্রের যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তাতে করে যা ইচ্ছা কেনা হয়তো সম্ভব হয় না কিন্তু কিছু কেনাকাটাতো করতেই হয়। বাড়ির গিন্নীবান্নিরা কিন্তু অনেকেই সারা বছরের খরচের থেকে টাকা বাঁচিয়ে রাখে পূজোতে কেনাকাটার জন্য এবং এটাও বাস্তব আজকের দুর্মূল্যের বাজারে সস্তায় এই শহরগুলিতে নিশ্চিত কেনাকাটা করা যায়।

এক সময়ে পূজোর আগে খবরের কাগজগুলিতে কাপড়ের দোকান থেকে জুতোর দোকানের বিজ্ঞাপন থাকতো প্রায় রোজই কিন্তু আজকে অনেকটাই কমেছে। রেডিও থেকে টিভিতেও বিজ্ঞাপন যা আগে থাকতো তাও অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিজ্ঞাপনের দর যে অনেক। কলকাতার বিভিন্ন খাবারের দোকানের বিজ্ঞাপন আজকে খুব একটা দেখা না। তবুও বাঙালির দুর্গা পূজো কিছু না থাকলেও কিছু তো থাকবেই। (চলবে)


Follow us on :