Share this link via
Or copy link
সৌমেন সুর: হিমালয় (Himalaya) থেকে তপস্যা শেষ করে দক্ষিণেশ্বরে ফিরেছেন সাধিকা গৌরী মা (Gouri Maa)। ঠাকুর রামকৃষ্ণের (Ramkrishna) খুব আনন্দ। ঠাকুর গৌরী মা-কে খুব স্নেহ করেন, ভালবাসেন। একদিন ঠাকুর দেখলেন গৌরী মা ভোরবেলায় ফুল তুলছেন। সেই সময় ঠাকুর ওকে বিধান দেন, 'গৌরী তোর ঢের সাধন ভজন হয়েছে। এবার তোর তপস্যাপূত দেহ মায়েদের সেবায় নিবেদন কর। এখানকার মায়েদের বড় কষ্ট। ওদের বাঁচা গৌরী।'
গৌরী মা শুনে বললেন, 'বেশ তুমি তাহলে ক'টা মেয়ে দাও। আমি ওদের হিমালয়ে নিয়ে গিয়ে শিখিয়ে পড়িয়ে তারপর কাজ করছি।' ঠাকুর বাধা দিয়ে বললেন, ওটি হবে নি তোকে টাউনে বসে কাজ করতে হবে।' কথাটা শুনে গৌরী মা বিস্মিত হলেন। ভাবলেন কলকাতার কলকোলাহলে কী করে কাজ করবে! ঠাকুরের পা জড়িয়ে মা কাঁদতে কাঁদতে বললেন, 'ঠাকুর তোমার নির্দেশ আমি অমান্য করতে পারবো না। তবে এই নির্দেশ আমি সঠিকভাবে পালন করতে পারবো না। আমি তুমি ক্ষমা করো ঠাকুর, ক্ষমা করো।'
শ্রীরামকৃষ্ণ গভীর ভাবে জবাব দিলেন, 'তোর ঘাড় পালন করবে। আজ থেকে তোর সাধনার ঘরে কুলুপ এঁটে দিলুম। চাবি রইলো আমার কাছে। আমার যখন ইচ্ছা হবে তখন সে ঘর পাবি।' অগত্যা বগুরু আদেশ মাথায় নিয়ে গৌরী মা শুরু করে দিলেন কাজ। তবে কাজটা অত সহজ ছিল না। ঘটনাচক্রে তাঁকে বৃন্দাবন যেতে হয়। এদিকে ঠাকুর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুস্থ ঠাকুরকে কাশীপুর উদ্যানবাটিতে নিয়ে আসা হয়। (চলবে)