০৯ মে, ২০২৪

Literature: বাংলা সাহিত্যের শতবর্ষের আলোকে বনফুল (প্রথম পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-04-02 08:51:06   Share:   

সৌমেন সুর: জীবনের আয়না হলো সাহিত্য। জীবন চলমান, সাহিত্য়ও চলমান। সমাজ বদলায়, সেই বদলের রং লাগে মানুষের গায়ে। তার শিল্প-সাহিত্য়, তার মননে ভাবনায়, জীবনচর্চায়। আধুনিক জীবনে আধুনিক সাহিত্য় হিসেবে আসে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, প্রহসন, কবিতা। গল্প-উপন্যাস এক জায়গায় থেমে থাকলো না। শুরু হলো পরিবর্তন আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা। মধু-নবীন বঙ্কিম নতুন আঙ্গিকে নতুন কথা বললেন। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ একাই সব শাখাতে জোয়ার আনলেন। এর মধ্য়ে তারাশঙ্কর, মানিক, বিভূতিভূষন দাবিদার হলেও সেখানে ভাগ বসালেন বনফুল অর্থাত্ বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়। বনফুলের সৃষ্ট সম্ভারে সমৃদ্ধ হলো বাংলা সাহিত্য়ের ভান্ডার। বিশেষ করে গল্প উপন্যাসে তাঁর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরনীয়।

১৯২৭ সালে বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় পাটনা থেকে ডাক্তার হয়ে বেরোলেন। কলকাতায় এসে ডা চারুব্রত রায়ের কাছে প্যাথোলজিতে বিশেষ ট্রেনিং নিলেন। ডাক্তারি পরীক্ষা দিয়ে তিনি বিয়ে করেন। প্যাথোলজি ট্রেনিং শেষ করে আজিমগঞ্জে মিউনিসিপ্যালিটির হাসপাতালে কাজ নিলেন। বেশি দিন সেখানে থাকলেন না। আজিমগঞ্জের কাজ ছেড়ে দিলেন। এরপর ভাগলপুরে ল্যাবরেটরি তৈরি করলেন এবং সেখানেই প্র্যাকটিস শুরু করলেন। ভাগলপুরেই তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় কাটালেন। ১৯৬৮ সালে তিনি পাকাপাকিভাবেই ভাগলপুর কলকাতায় চলে এলেন। ততদিন বাংলা সাহিত্যে তিনি স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।


Follow us on :