Share this link via
Or copy link
সৌমেন সুর:- ব্রেখট ১৮৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জার্মানীর বাভারিয়ার আউগসবুর্গে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সম্পন্ন পরিবারের মানুষ ছিলেন। একটি কবিতায় তিনি লিখেছিলেন, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার শ্রেণির প্রতি বিতৃষ্ণা বাড়তে থাকে। ব্রেখট চেয়েছিলেন বাভারিয়ায় ভালোমানুষ রূপে জীবনটা কাটাতে। একটি মেডিক্যাল স্কুলে ভর্তিও হয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কায় সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেল। ব্রেখট নিজেকে ঠাট্টা করে বলতেন, হতভাগ্য বে বে। তাই পরে একটি কবিতায় লিখেছিলেন, বেচারা বে বে-এর জন্ম এক অন্ধকার যুগে।
ব্রেখটের বাবা ছিলেন স্থানীয় কাগজ কারখানায় অধিকর্তা। বাবার প্রভাবের জোরে ব্রেখট একটি সামরিক হাসপাতালে কাজ পান। যুদ্ধ ফেরত আহত সৈনিকদের সেবা করাই ছিল তার কাজ। মাত্র ২০ বছর বয়সে যুদ্ধোন্মত্ত কাইজারের হিংস্র চেহারা উলঙ্গ করে লিখেছিলেন ব্রেখট, মরা সৈনিকের ব্যালাড। যাতে দেখানো হয় শাসকের স্বার্থে রণক্ষেত্রে নিরীহ সৈনিককে বীর শহীদ দেশপ্রেমিক তকমা দেওয়া হয়। ১৯২৪ সালে ব্রেখট লিখেছিলেন লাইফ অব এডওয়ার্ড ও টু অব ইংল্যান্ড নাথক নাটক।
তাঁর চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল রুশবিপ্লবের পরবর্তী অধ্যায়ে বিপ্লবী সর্বহারা শ্রেণি সম্পর্কে। ১৯২৮ সালে ব্রেখট দ্য থ্রি পেনি অপেরা লিখে বিখ্যাত হয়। বাংলার স্বনামধন্য নাট্যগোষ্ঠী নান্দীকার-দ্য থ্রি পেনি অপেরা অবলম্বনে তিন পয়সার পালা নাটকটি প্রদর্শিত করেন দীর্ঘদিন ধরে। নাটকের নায়ক ম্যাকিজুল ব্রেখটের বিবরনে বুর্জোয়া ডাকাত। ব্রেখটের মতে পুঁজিবাদী সমাজের মহান ও ইতিবাচক নায়কের তত্ত্বটি ১টি বিরাট ধাপ্পা।