Share this link via
Or copy link
সৌমেন সুর: সত্যজিৎ-এর তিন প্রজন্মের সম্পাদনায় ছোটদের মাসিক পত্রিকা 'সন্দেশ' বাংলা পত্রিকা জগতে একটা উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে। ১৯১৩ সালে পিতামহ উপেন্দ্র কিশোর রায়
ছোটদের এই অসাধারন পত্রিকা নিজ উদ্যোগে সম্পাদনা ও প্রকাশনা শুরু করেছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৬০ সাল থেকে আমৃত্যু সত্যজিৎ সম্পাদনা করে গিয়েছেন 'সন্দেশ' পত্রিকা। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি লেখালেখির প্রতিও ছিল তাঁর প্রগাঢ় ভালোবাসা। আমরা প্রিয় সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে ৬০টি গ্রন্থ পেয়েছি। এছাড়া একাধিক গ্রন্থও তিনি আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা শহরে সত্যজিতের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে তাঁর আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। আবার বেশকিছু পুরসভা সত্যজিৎ রায়ের নামে রাখা হয়েছে রাস্তার নাম। এ প্রসঙ্গে শান্তিপুর, রিষড়া, বিষ্ণুপুর প্রভৃতি পুরসভার নাম উল্লেখযোগ্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একদা গ্রাম বোড়ালে রাখা হয়েছে সত্যজিৎ-র আবক্ষ মূর্তি। যেখানে পথের পাঁচালী ছবির শুটিং হয়েছিল।
প্রায় তিন দশকের পরিচালনা জীবনে তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন ২৮টি কাহিনীচিত্র, ৫টি তথ্যচিত্র ও ৩টি দূরদর্শন চিত্র। দেশ-বিদেশের সব ধরনের চলচ্চিত্রের সম্মানই তাঁকে ভূষিত করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। 'দাদা সাহেব ফালকে' থেকে 'ভারতরত্ন' সম্মান এবং দেশ বিদেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডি.লিট. উপাধি, বিশ্বভারতীর 'দেশিকোত্তম সম্মান', 'গোল্ডেন লায়ন অব সেন্টমার্ক' পুরস্কার ও 'ম্যাগসেসাই' পুরস্কার তিনি লাভ করেন।
১৯৭৮ সালে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান 'লিজিয়ন অব অনার' সম্মানে ভূষিত হন সত্যজিৎ রায়। ১৯৯২ সালে 'লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্টে' এর জন্য বিশেষ অস্কার পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। সত্যজিৎ রায় সমগ্র মানুষের কাছে গর্ব, অহংকার। বাংলার তথা বাঙালির কাছে তিনি চিরকাল অমর হয়েই থাকবেন।