১৬ মে, ২০২৪

Special: মার্গারেট থেকে শিক্ষাব্রতী নিবেদিতা (১ম পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-06-15 21:04:54   Share:   

সৌমেন সুরঃ আজ থেকে ১২৫ বছর আগে ১৮৯৮ সালে নিবেদিতা কলকাতা এসে পৌঁছান। মনের মধ্যে তাঁর পাহাড় প্রমাণ পরিকল্পনা। পর্ব প্রথম, নারীদের সুশিক্ষায় পরিণত করতে হবে। এই মনোবাসনায় তাঁর মন ছটফট করতে থাকে। কিন্তু স্বামীজি চেয়েছিলেন, মার্গারেট হিন্দু নারী জীবনের খুঁটিনাটি বিষয়ে অবহিত হয়ে, সে বিষয়ে কাজ করতে এবং মার্গারেটকে শ্রীশ্রী মা সারদার চরণে উপনীত করতে। যথাসময়ে মার্গারেট বাগবাজারে মায়ের দর্শনে এলেন। শ্রী শ্রী মা নিবেদিতার আন্তরিক ব্যবহারে, কথাবার্তায় অত্যন্ত খুশি হলেন। স্বামীজিও মুগ্ধ হলেন। এরপর বেলুড়ে নীলাম্বর বাবুর বাড়িতে স্বামীজি মার্গারেটকে ব্রহ্মচর্যে দীক্ষিত করে নবনামে ভূষিত করলেন-'নিবেদিতা'। নিবেদিতা এবার চিরদিনের মত ভারত কল্যাণ ব্রতে নিবেদিত হলেন।

রবীন্দ্রনাথ তাঁর ভগিনী নিবেদিতা প্রবন্ধে লিখেছেন, 'বাগবাজারের একটি বিশেষ গলির কাছে তিনি আত্মনিবেদন করিয়াছিলেন, সেখানে তিনি পাড়ার মেয়েদের কাছে থাকিয়া শিক্ষা দিবেন তাহা নহে, শিক্ষা জাগাইয়া তুলিবেন।' ১৬ নম্বর বোসপাড়া লেনের বাড়ি থেকে রোজ দুপুরে মা সারদার সঙ্গে নিবেদিতা সময় কাটাতেন। তার ফলে নিবেদিতা খুব কাছ থেকে হিন্দু সমাজের নারীদের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, যেমন- পূজাপদ্ধতি, আচার, গৃহস্থালি কর্ম, আতিথেয়তা, কথাবার্তা, সবকিছু। এই পর্যবেক্ষণে নিবেদিতার স্কুল চালাতে খুব সাহায্য হয়েছিল। পরন্তু হিন্দু মহিলাদের শুধু নয়, সবকিছু্কে ভালোবাসতে সচেষ্ট হলেন। ১৮৯৮ সালের নভেম্বর মাসে কালীপুজোর দিন সম্পন্ন হলো নিবেদিতার স্কুল। ঐদিন স্বামী বিবেকানন্দ, স্বামী ব্রহ্মানন্দ ও স্বামী সারদানন্দের উপস্থিতিতে ১৬ নম্বর বোসপাড়া বাড়িতে মা সারদার সঙ্গে গোলাপ মা, যোগীন মা এলেন। পুজো শেষে মা বললেন, 'এই বিদ্যালয়ের উপর জন্মমাতার আশীর্বাদ বর্ষিত হোক। এখান থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত মেয়েরা আদর্শ কন্যা হয়ে উঠুক।' স্কুল খোলার পিছনে নিবেদিতার একটি উদ্দেশ্য ছিল যে, হিন্দু রক্ষণশীল মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলা এবং সম্মানের সঙ্গে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলা। তথ্যঋণ- প্রবাজিকা নির্ভীকপ্রাণা


Follow us on :