২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Palash Priya: পলাশপ্রিয়া মা সরস্বতী, জানুন বিদ্যাদেবীর আগমনের ইতিহাস!
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-01-25 17:05:53   Share:   

সৌমেন সুর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত এক অস্থিরতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁর মনের গভীরে বারেবারে অনুরনন তুলে চলেছে রামায়ণ মহাকাব্য। তাকে তিনি নবভাষ্যে উপস্থাপিত করতে চান, তা কী করে সম্ভব! কিন্তু মহাকাব্যকে যে ভাস্কর করে তুলতেই হবে। শুরু হল আধুনিক মহাকাব্যের কথন। 'মেঘনাদবধ কাব্য'। মাইকেল জানতেন, দেবী সরস্বতীর বরে বাল্মিকী কবিত্বশক্তি লাভ করেছিলেন। মহামূর্খ কালিদাসও হয়ে উঠেছিলেন মহাকবি। তাই কাব্যের সূচনায় দেবীর কাছে কৃপা প্রার্থনার মাধ্যমে শুরু করলেন তাঁর কাব্য। 'আমি ডাকি আবার তোমায়/শ্বেতভূজে ভারতী। যেমনি মাতঃ বসিলা আসিয়া/বাল্মিকীর রসনায়/তেমতি দাসেরে আসি দয়া কর সতী'। কবি সাহিত্যিক শিল্পীরা দেবী সরস্বতীর বরপুত্র বা বরপুত্রী। তাই অজ্ঞানতা থেকে জ্ঞানের যাত্রাপথে চলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমরা তাঁর আরাধনা করে আসছি।

আজ বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পুজো। সেই পলাশপ্রিয়ার আরাধনায় মেতে উঠেছে সকলে। 'জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে....'। এই মন্ত্রে প্রদান করা হচ্ছে অঞ্জলি। মা সরস্বতীর উৎস সন্ধানে গেলে অনেক সৃষ্ট তত্ত্ব মেলে। কখনও তিনি ব্রহ্মার কন্যা কখনও শিবের কন্যা, কখনও তিনি দক্ষরাজ কন্যা। আবার তার স্বামী হিসেবেও অনেককে পাওয়া যায়। কখনও তিনি ব্রহ্মার ঘরনী, কখনও তিনি নারায়ণের জায়া আবার কখনও তিনি কাশ্যপ মুনির পত্নী। তাঁর উৎস সম্পর্কিত একটি কাহিনী থেকে জানা যায়, ব্রহ্মা পৃথিবীতে সৌন্দর্য ও জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে সৃষ্টি করেছিলেন সরস্বতীকে।

একদিন বললেন 'যাও তুমি জগৎকে আলো দেখাও। কাব্য শাস্ত্র সৃষ্টি করো জগৎকে জ্ঞানে পূর্ন করো'। তারপর তো ইতিহাস। বাংলা এখন ভগবতী ভারতীর পুজো প্রস্তুতিতে মগ্ন। আমাদের অফিস CTVN ও CN-এর প্রত্যেক কর্মী বীনাদেবীর আরাধনায় ব্যাপ্ত। সবাই যেন বলবে- 'বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে। ভগবতী ভারতী দেবী নমস্তে।' মা তোমার চরণে শতকোটি প্রণাম।


Follow us on :