Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্তঃ আজ বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবস। উপেন্দ্র কিশোরের নাতি ও সুকুমার রায়ের পুত্র কিন্তু তাঁর বংশের শৈল্পিক ঘরানাকে ধরে রেখেছিলেন প্রবল ভাবে। বলা যায়, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন সত্যজিৎ। সিনেমা পরিচালনা সঙ্গে চিত্রনাট্য, সংলাপ, সঙ্গীত ইত্যাদি সবটাই নিজেই করতেন, এমনকি ক্যামেরাম্যান থাকলেও নিজেই ছবি তুলতেন। পথের পাঁচালি নিশ্চিত ভারতীয় চলচিত্রে এক বিপ্লব। ভারতীয়রা সিনেমা দেখতে বসে যেমন ভাবতে শিখলো তেমনই রবীন্দ্রনাথের পরে কলাশিল্পে আরও একটি নাম বিশ্বের বাজারে চলে আসলো। সত্যজিতের লেখার হাতও ছিল চমৎকার।
ছোট গল্প থেকে ফেলুদা বা প্রফেসর শঙ্কু তরুণ সমাজকে নতুনভাবে বইমুখী করেছিল। সত্যজিৎ সারা জীবনে যত ছবি তৈরি করেছেন তার একেকটি একেক মহলে সেরা মনে হয়েছে। প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সত্যজিতের প্রিয় অভিনেতা। তিনি বলতেন, কোনও নির্দিষ্ট ছবি দিয়ে মানিকদাকে বিচার করা যাবে না। উত্তমকুমারের নায়ক বাদ দিয়েও চিড়িয়াখানা ছবি অসামান্য। চিড়িয়াখানা ছবির জন্য উত্তম রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন।
তবুও সমালোচনা থাকে। সত্যজিৎ অসুস্থ হওয়ার পরে ইনডোর গল্প বেছে স্টুডিও ইনডোরে স্যুটিং করে ঘরে বাইরে, গণশত্রু, শাখা-প্রশাখা ছবি করে কিন্তু বিশেষজ্ঞ মহলে সমালোচনা কুড়িয়েছিলেন কিন্তু মৃত্যু আগে যেন ঝলসে উঠে আগন্তুক ছবি বানালেন এবং টিপিকাল সত্যজিতে ফিরে এসেছিলেন। তারপরেই চির বিদায়।