১৫ মে, ২০২৪

Special: ডি.লিট.না নোবেল, কোনটা আগে পেয়েছেন কবি (২য় পর্ব)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-04-23 14:23:38   Share:   

সৌমেন সুরঃ যে কোনো বিষয়ে শেষের যেমন শেষ আছে, তেমনি আরম্ভেরও আরম্ভ আছে, ড: সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত মহাশয় সে ব্য়াপারটা তলিয়ে দেখেন নি। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের নথিপত্র থেকে আংশিক তথ্য়াহরন করেই তিনি আশুতোষের বিরুদ্ধে পাঁক ছেটাবার ব্য়বস্থা করে ফেললেন। ড: সেনগুপ্ত দুটো তারিখের ওপর নির্ভর করে তাঁর যুক্তি খাড়া করেছেন। ১৩ নভেম্বর ও ১৫ নভেম্বর হলো তাঁর প্রধান অস্ত্র। তবে অনেকেরই একথা জানা নেই যে, কোনো ব্য়াপারে পূর্ব প্রস্তুতি না নিয়ে আঁটঘাট না বেঁধে হঠাৎ সিদ্ধান্ত করা আশুতোষের প্রকৃতি বিরুদ্ধ। 

কবিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মান জ্ঞাপনের কথা বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলেন। এই ভাবনা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর লর্ড কারমাইকেলের মাধ্যমে চান্সেলর লর্ড হার্ডিঞ্জের সম্মতি আদায়ের যে চেষ্টা করেছিলেন তার অকাট্য প্রমাণ ৫ই অক্টোবর ১৯১৩ দার্জিলিং শৈলাবাস থেকে আশুতোষকে লেখা কারমাইকেলের চিঠি। অবশেষে হার্ডিঞ্জের অনুমতি পাওয়া গেল নোবেল প্রাইজ ঘোষণার ১৭ দিন আগে।

বিশ্ববিদ্যালয় তখন সরকারি সংস্থা। ভাইসরয়, গভর্নর, হাইকোর্টের বিচারপতি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার, অধ্যক্ষ, অধ্যাপক এক বিশাল মাপের মানুষ জড়ো হলেন। রবীন্দ্রনাথ এই দেশি-বিদেশী বিদগ্ধ মানুষের কাছে একটু আরষ্ট হয়ে গিয়েছিলেন। যাইহোক এই সবার পাঁচদিন পর কবি সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তকে চিঠিতে লেখেন, 'আমার কাব্যলক্ষ্মীর মাথায় এতদিন যে ঘুমটা ছিল সে ভালই ছিল- কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সেটাকে সভাস্থলে উন্মোচন করিয়া যখন তাহার মাথায় পাগড়ি পরাইয়া দিবে, তখন সেটা কিছুতেই মানাইবে না।' এই চিঠি নোবেল পুরস্কার ঘোষণার ১১ দিন আগের লেখা।

                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                               তথ্য়ঋণ- দীনেশ চন্দ্র সিংহ


Follow us on :