১৩ মে, ২০২৪

Rabindranath: ২৫ শে বৈশাখ, ফিরে দেখা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-05-09 09:48:51   Share:   

সৌমেন সুরঃ রবীন্দ্রনাথ এক বিস্ময়কর প্রতিভা। তিনি দেশ ও জাতির আশা আকাঙ্খার প্রতীক। তিনি মনুষ্যত্বের চির উন্নত শির। ভারত আত্মার বিগ্রহ। অন্যায়ের বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। রবীন্দ্রনাথ আমাদের অহংকার, আমাদের প্রেরণা, আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের সমৃদ্ধি।

পঁচিশে বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন। এই দিন আমাদের আত্মসমীক্ষার দিন। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, কখনো যদি কবিকে মনে করতে ইচ্ছে হয়, তাহলে চৈত্রের শালবনের নির্জনতায় নি:শব্দে এসে বসতে। তিনি বারণ করেছিলেন আড়ম্বর করতে। আমরা তা শুনিনি। কবি বিষ্ণু দে বলেছেন, 'সভায় কাগজে বাজে ঢাকঢোল/ কারো বা ঝুমঝুমি /এ বড় অদ্ভুদ রাজ্য ছাব্বিশে বৈশাখ মরুভূমি।' কবির জন্মদিনের পরেও জন্মদিন ফুরায় না। রোজই ২৫ শে বৈশাখ। প্রতিদিন কবির সঙ্গে চলাফেরা। প্রতিদিনই তাঁর গানের সঙ্গে আমরা স্মাত হই। বলতে ইচ্ছে হয়, 'আমর জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী করেছ দান।' নিরুদ্দেশ সৌন্দর্যের পথে পথেই যে কবির নিরন্তর পরিক্রমা, তা নয়। সমকালীন বহু ঘটনাই তাঁর মনে ঝড় তুলেছিল। রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন মত্ত বর্বরতার বিরুদ্ধে। রাজনীতিতে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগ ছিল না। তবু মূঢ়-ম্লান-মূক-নতশির মানুষদের মুখে ভাষা দিয়েছেন। জাতির কন্ঠে দিয়েছেন গনসঙ্গীত। অনুপ্রানিত করেছেন যথার্থ দেশপ্রেমে।

শুধু কবি নন, সাংগঠনিক কাজেও তিনি ছিলেন সমান দক্ষ। শান্তিনিকেতনে প্রতিষ্ঠা করলেন আদর্শ শিক্ষাকেন্দ্র। প্রকৃতির পাঠশালাতে দিলেন ছাত্রদের ডাক। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল- যান্ত্রিক নিরানন্দ শিক্ষার হাত থেকে শিক্ষার্থী মুক্তি পাক এই আশায়। শান্তিনিকেতন হলো দেশের সব মানুষের ভাব বিনিময়ের এক মহাতীর্থ। বিশ্বভারতী থেকে অনতিদূরে গড়ে তুললেন 'শ্রীনিকেতন'। আমাদের সংষ্কৃতিকে মাটির কাছাকাছি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্পে রবীন্দ্রনাথ। আমাদের সভ্যতাকে দানবের হাত থেকে রক্ষা করার সংগ্রামে রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ আমাদের মনেপ্রাণে জড়িয়ে আছে অর্নগল। বন্ধু মজলিশে, চায়ের দোকানে, কফি হাউসে, রেডিওতে, টিভিতে, সংবাদপত্রে, রবীন্দ্রনাথ নিত্য আমাদের সম্মুখে উপস্থিত। কবি আমাদের আধুনিক ভারতের নব তীর্থভূমি। এই তীর্থে এসেই জানা যায় ভারতকে।


Follow us on :