১০ মে, ২০২৪

Satyajit: ১০২-এ সত্যজিৎ, সঙ্গীত জগতে তাঁর ভূমিকা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-05-02 12:33:39   Share:   

প্রবাদপ্রতিম প্রয়াত পরিচালক সত্যজিৎ রায় আজ ১০২ বছরে পা দিলেন। রবীন্দ্রনাথের পরে বঙ্গ সমাজে এতো বহুমুখী প্রতিভা আর আসেনি এবং আজকেও এটাই বাস্তব। আমরা জানি যে, সত্যজিৎ সিনেমার পরিচালক হিসাবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। কিন্তু শুধুমাত্র পরিচালনা নয়, চিত্রনাট্য, সংলাপ, ক্যামেরা, এডিটিং সবই তিনি করতেন, যদিও এই বিভাগের শিল্পী ছিলই। সত্যজিতের অন্যতম প্রধান বিষয়ের মধ্যে সংগীত পরিচালনাও ছিল। ১৯৬১ থেকে তিনি নিজেই নিজের ছবিতে সুর দিতেন, গান থাকলে গান লিখতেন। সত্যজিৎ গান করতেন কিনা কোথাও উল্লেখ নেই, কিন্তু তাঁর সুরের বিষয়ে যে প্রবল অভিজ্ঞতা ছিল তা আমরা জানতে পারি। তিনি পিয়ানো বাজাতে পারতেন এবং সুর তৈরি করতেন ওই পিয়ানোতে।

তাঁর প্রথম সংগীত পরিচালনা 'তিন কন্যা'তে হলেও তিনি প্রথম গানে সুর দেন 'দেবী' ছবিতে এবং একটি শ্যাম সংগীত লিখেছিলেন ও সুর দিয়েছিলেন। অবশ্য তাঁর প্রথম ছবি 'পথের পাঁচালী'তে 'হরি দিন তো গেলো সন্ধ্যা হলো'গানটি ছিল। তিন কন্যার দ্বিতীয় ভাগ মণিহারাতে তিনি কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে 'বাজে করুন সুরে' গানটি ব্যবহার করেছিলেন। পরে 'চারুলতা' ছবিতে কিশোর কুমারকে দিয়ে 'আমি চিনিগো চিনি' গানটি ব্যবহার করেছিলেন, লিপ দিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। 'অরণ্যের দিনরাত্রি'তে তিনি পাহাড়ি সান্যালকে দিয়ে একটি অতুল প্রসাদী গান গাইয়েছিলেন।

এরপর অবশ্য 'গুপী গায়েন বাঘ বাইনে' প্রচুর গান ছিল। কথা ও সুর সত্যজিতেরই ছিল এবং পরের একটি গুপী বাঘা নিয়ে ছবি 'হীরক রাজার দেশে'তেও অনেক গান ছিল। লক্ষণীয় বিষয় সারা ভারতের নানান দ্রুপদী সুর কিন্তু গাঙ্গুলিতে বিদ্যমান ছিল। এমনকি দক্ষিণ ভারতীয় সুরও।

তিনি নিজেও গান গেয়েছেন যদিও কয়েক কলি। প্রথমে শাখা-প্রশাখাতে একটি বিদেশি গানের কলি ছিল সৌমিত্রর মুখে, গলা ছিল কিন্তু সত্যজিতের। তেমনই শেষ ছবি 'আগন্তুক' ছবিতে উৎপল দত্তর মুখে 'হরি হরোয়া নমো' গানটির কলি কিন্তু সত্যজিতের। নিজের ছবি ব্যতীত তিনি নিত্যানন্দ দত্তর বাক্স বদলে সুর করেছিলেন। করেছিলেন গুরু বলে একটি বিদেশি ছবিতেও। তাঁর সুর নিয়েই আজকেও ছবি বানান পুত্র সন্দীপ রায়। কাজেই সত্যজিতের সুর ও গান কিন্তু বাঙালি মননে ছাপ ফেলেছে।


Follow us on :