২৭ এপ্রিল, ২০২৪

German: রাশিয়ার পর কাতার! ম্যাচ জিতেও গ্রুপ লিগ থেকেই বিশ্বকাপের বাইরে জার্মানি
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-12-02 16:20:03   Share:   

প্রসূন গুপ্ত: বিশ্বকাপ ফুটবলে (Qatar World Cup 2022) জার্মানি একটি সেরা দল। চিরকাল তারা ইতিবাচক ফুটবল উপহার দিয়েছে। ৪ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, ৪ বার রানার্স এবং বহুবার সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। তাদের (German Football) নিজস্ব ঘরানার খেলা নতুনত্ব এনেছে বিশ্ব ফুটবলে। জার্মানি কখনও স্টার ফুটবলারে বিশ্বাসী নয়। বেকেনবাওয়ার থেকে মুলার-নয়ার; চিরকাল একটা টিম গেম খেলেছে। বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৫০-এ তাঁদের খেলতে দেওয়া হয়নি। ইউরোপ নাকি হিটলারের জার্মানির উপর এতটাই ক্ষুব্ধ ছিল যে তাঁদের প্রায় একঘরে করে রাখা হয়েছিল। পরে জার্মানি দুই ভাগ হয়ে যায়। বামপন্থী পূর্ব জার্মানি এবং দক্ষিণপন্থী পশ্চিম জার্মানি। দীর্ঘদিন অলিম্পিকের আসরে পূর্ব জার্মানি দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থানে থাকতো তাদের ক্রীড়া শৈলীর জন্য। কিন্তু ফুটবলে পশ্চিম জার্মানি অনেকটাই এগিয়েছিল। ৫০-এ বাদ পড়লেও ১৯৫৪-য় তারা ফিরে আসে এবং চ্যাম্পিয়ন হয় বিশ্বকাপে। এরপর ফের ১৯৭৪-এ বেকেনবাওয়ারের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়।

১৯৯০-এ এই বেকেনবাওয়ারের কোচিংয়ে পশ্চিম জার্মানি ফের তৃতীয়বারের জন্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। চতুর্থবার তাঁরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২০১৪-তে। এর মধ্যে ৬৬, ৮২, ৮৬ এবং ২০০২-তে রানার্স আপ একদা পশ্চিম জার্মানি এবং বর্তমানের জার্মানি। এই রেকর্ড অন্য কোনও দলের নেই।

গত রাশিয়া বিশ্বকাপে পুরাতন স্কোয়াড নিয়ে খেলতে গিয়ে প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছিল জার্মানি। এবার তেমনটি হওয়ার কথা নয় কারণ জোয়াকিম লো বিদায় নিয়েছেন। নতুন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। খেলাটা ফ্লিক ভালোই বোঝেন। নতুন এক ঝাঁক দুরন্ত খেলোয়াড় নিয়ে দল গঠন করছিলেন তিনি। পুরনো মধ্যে ম্যানুয়েল নয়ার আর মুলার ছাড়া তেমন কেউ ছিলেন না। তরুণদের মধ্যে মুশিওয়ালা, লিওরি সানে, জুড বেলিং অসাধারণ খেলেছে ক্লাবস্তরে। কিন্তু প্রথম খেলায় জাপানকে হালকা ভাবে নিতে গিয়ে ২-১ গোলে হেরে যায় জার্মানি। এটাই কাল হয় ডয়েশল্যান্ডের, বিপক্ষে যায় গোল পার্থক্য।

পরের গ্রুপ ম্যাচে স্পেনকে যথেষ্ট বেগ দিয়ে প্রথমে গোল খেয়ে পরে গোল শোধ করে জার্মানি। যদিও এই ম্যাচের অন্তত ফল হওয়া উচিত ছিল ৩-১। শেষ ম্যাচে কোস্টারিকার সঙ্গে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে প্রথমে গোল খেয়ে শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে জেতে জার্মানরা। কিন্তু ওই যে গোল পার্থক্য। পাশাপাশি স্পেনকে অবিশ্বাস্য ভালো খেলে হারায় জাপান। ফলে গোল পার্থক্যের বিচারে জাপান গ্রুপ-ই থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে উঠে যায়। জার্মানির মতোই এক ম্যাচ জিতে, এক ম্যাচ ড্র করে এবং এক ম্যাচ হেরে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের নক আউট রাউন্ডে গিয়েছে। পিছনে সেই গোল পার্থক্য স্পেনিশ আর্মাডাদের পক্ষে গিয়েছে। কারণ প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকাকে ৭ গোল দিয়েছিল জাভি, ইনিয়েস্তাদের দেশ।

ফলে দুর্ভাগ্য জার্মানির এবং দুর্ভাগ্য ক্রীড়াপ্রেমীদের। একদম তরুণ দল নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে নকআউট রাউন্ডে যেতে পারতো তারা। কিন্তু ফিরে আসতে হচ্ছে খালি হাতেই।



Follow us on :