Share this link via
Or copy link
পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) ভগবানপুরে তৃণমূলের (TMC) বিজয়া সম্মিলনী ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর সামনেই বিক্ষোভে সামিল ছিলেন কর্মী-সমর্থকরা। জেলাস্তরে সাম্প্রতিক সাংগঠনিক রদবদলের প্রতিবাদ করেন তাঁরা। পাশাপাশি কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতির নাম কেন আমন্ত্রণের নিচে? সেই প্রশ্নের জবাব চেয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকদের মুখে অভিজিৎ দাস নামে এক তৃণমূল নেতার নাম উঠে এসেছে।
এই অভিজিৎ দাস দলে সাংগঠনিক ভাবে সক্রিয় না হয়েও কেন এত গুরুত্ব পাচ্ছে? প্রশ্ন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। অভিজিৎ দাস নাকি চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীকে একুশের ভোটে হারানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন। এই অভিযোগ করেছেন তরুণ মাইতির অনুগামী তৃণমূলে কর্মীরা। বিক্ষোভ থামাতে মঞ্চ থেকে নেমে আসেন কুণাল ঘোষ এবং সোহম চক্রবর্তী। কথা বলেন বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'আমি আর সোহম ওদের দাবি-দাওয়া শুনেছি। নতুন কোনও কমিটি গঠন হলে একটু ক্ষোভ-বিক্ষোভ জন্মায়। সঠিক সময়ে ওদের বক্তব্য শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাব। এটাও একটা তৃণমূল, যারা কর্মীদের দাবি-দাওয়া শুনে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে।'
তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী বলেন, 'বিষয়টি অনভিপ্রেত। এই অনুষ্ঠানে জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। আমরা ওদের বলেছি এই মঞ্চ এভাবে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখানোর জায়গা নয়। ওরা পরে বুঝে অনুষ্ঠানে অংশও নিয়েছে।'