Share this link via
Or copy link
গুলাম নবি আজাদের (Gulam Nabi Azad) পথে হেঁটেই এবার কংগ্রেসের (Congress) গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়লেন আনন্দ শর্মা। সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি লিখে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) পর্যবেক্ষক কমিটির প্রধানের পদ ছাড়লেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দিন কয়েক আগে একইভাবে পদত্যাগ করেছেন গুলাম নবি আজাদ। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রচার কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, কংগ্রেস সভানেত্রীকে চিঠিতে আনন্দ শর্মা লেখেন, তাঁকে না জানিয়েই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এতে আহত হয়েছে তাঁর আত্মসম্মান।
চলতি বছর অক্টোবরে হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ২৬ এপ্রিল হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক কমিটির প্রধান পদে বসানো হয় আনন্দ শর্মাকে। ওই রাজ্যে কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা তিনি। ১৯৮২ সালে বিধানসভা ভোটে প্রথম বার জিতেছিলেন। ১৯৮৪ সালে তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। সেই থেকেই রাজ্যসভার সাংসদ আনন্দ শর্মা।
এদিকে, বছরের শেষে জম্মু কাশ্মীরে ভোটের আগে বড়সড় ধাক্কা প্রদেশ কংগ্রেসে। নির্বাচন প্রচার কমিটির সভাপতি পদ ছাড়লেন গুলাম নবি আজাদ। মঙ্গলবার প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদকে এই পদে নিয়োগ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ইস্তফা দিলেন আজাদ। আর আজাদের এই পদক্ষেপের পরেই ইস্তফার হিড়িক জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে। আজাদ অনুগামী হিসেবে উপত্যকায় পরিচিত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গুলাম আহমেদ মীর, প্রাক্তন বিধায়ক হাজি আব্দুল রশিদ দারের মতো নেতারা বিভিন্ন কমিটি থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন।
চলতি বছরের শেষে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। এই সম্ভাবনা উসকে দিয়ে আসন পুনর্বিন্যাস চলছে উপত্যকায়। আর জম্মু-কাশ্মীরের একদা শাসক দল কংগ্রেস সেখানে নতুন করে সংগঠন সাজাতে চাইছে। সেই উদ্দেশে সাত বছর প্রদেশ সভাপতির পদে থাকা মীর জুলাইয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সোমবার তাঁর জায়গার ভিকর রসুল ওয়ানিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ করেছেন সোনিয়া গান্ধী।